নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের পৈতৃক বাড়ি প্রতীচীর সামনে নোটিশ লাগিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আগামী ৬ মের মধ্যে অমর্ত্য সেনকে ‘অবৈধভাবে’ দখলে রাখা ১৩ ডেসিমেল জায়গা খালি করে দিতে হবে।
নোটিশে বলা হয়েছে, ১৫ দিনের সময়সীমা আগামী ৬ মে পার হওয়ার পর অমর্ত্য সেনের দখলে থাকা ওই জমি আইনি উপায়ে উদ্ধার করা হবে। তবে অমর্ত্য সেন চাইলে এ আদেশের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন। এ সময়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদ করার কোনো উদ্যোগ নিতে পারবে না।
অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের মামলার শুনানির জন্য জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন। তবে তাঁকে মাত্র ১৫ দিনের সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি এখন বিদেশে রয়েছেন।
অমর্ত্য সেনের বাসভবনে ‘অবৈধভাবে’ দখলে থাকা জমি উদ্ধারের দাবিতে করা মামলার সর্বশেষ শুনানির দিন ছিল ১৩ এপ্রিল। ওই দিন অমর্ত্য সেন বা তাঁর আইনজীবী উপস্থিত হননি। তাঁর পক্ষে আগেই জুন পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল।
আবেদনে বলা হয়, অমর্ত্য সেন বিদেশ থেকে না ফেরা পর্যন্ত যেন তাঁর বাড়িতে উচ্ছেদের নামে কোনো শান্তিভঙ্গ না হয়। এ নিয়েই তিনি বোলপুরের মহকুমা শাসকের আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন তাঁর পৈতৃক বাড়ি প্রতীচী ও তাঁদের সম্পত্তি রক্ষার।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, অমর্ত্য সেনের বাসভবনে ১৩ ডেসিমেল জায়গা অবৈধভাবে দখলে রাখা হয়েছে। অমর্ত্য সেনের দাবি, ওই জমি তাঁর বাবার আমলের। ১৯৪৩ সালে তাঁর বাবা আশুতোষ সেনকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই জমি ইজারা দিয়েছিল। সেই জমি অমর্ত্য সেনের নামে বীরভূমের বোলপুরের ভূমি দপ্তর থেকে মিউটেশনও করা হয়েছে। সুতরাং অবৈধ দখলের প্রশ্ন নেই। এ জমির মোট পরিমাণ ১ দশমিক ৩৮ একর।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দাবি তুলেছে, ওই ১ দশমিক ৩৮ একর জমির মধ্যে ১৩ ডেসিমেল জমি অমর্ত্য সেন অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন।
অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী বলেন, কোনো জমি বেআইনিভাবে দখল করেননি অমর্ত্য সেন। ওই জমির কিছু অংশ ইজারা নেওয়া, কিছু অংশ নিজেদের কেনা। সুতরাং এ জমি থেকে উচ্ছেদের কোনো প্রশ্ন নেই।