অতিক্ষুদ্র ওয়াশিং মেশিন
অতিক্ষুদ্র ওয়াশিং মেশিন

সবচেয়ে ছোট ওয়াশিং মেশিন

দৈনন্দিন জীবনে ওয়াশিং মেশিনের গুরুত্ব কারও অজানা নয়। বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ নানা কোম্পানির ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করেন। সেগুলো বিভিন্ন আকারের, থাকে নানান সুবিধা। তাই বলে মাত্র শূন্য দশমিক ৮৮ আউন্স (২৫ গ্রাম) ওজনের ওয়াশিং মেশিন! এ যেন কল্পনার লিলিপুটদের রাজ্য থেকে তুলে আনা ওয়াশিং মেশিন।

এই ওয়াশিং মেশিনের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা যথাক্রমে ১ দশমিক ২৮ ইঞ্চি, ১ দশমিক ৩২ ইঞ্চি ও ১ দশমিক ৫২ ইঞ্চি! অতিক্ষুদ্র হলেও এটি মোটেও খেলনা ওয়াশিং মেশিন নয়; বরং একটি সাধারণ ওয়াশিং মেশিনের মতো এতে কাপড় কাচা যায়, ধোয়া যায়, এমনকি শুকানো পর্যন্ত যায়। ওয়াশিং মেশিনটি তৈরি করে মিনিয়েচারশিল্পে নিজের দক্ষতা দেখিয়েছেন ভারতীয় তরুণ সেবিন সাজি।

সেবিন গত ১৯ এপ্রিল ভারতের কেরালা রাজ্যের কাঞ্জিরাপলিতে নিজের তৈরি এই ওয়াশিং মেশিনটি জনসমক্ষে আনেন। সেবিনের স্বপ্ন ছিল, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম লেখানো। সেই স্বপ্ন বাস্তব করতে তিনি ওয়াশিং মেশিনের এই মিনিয়েচার বা অতিক্ষুদ্র সংস্করণটি তৈরি শুরু করেন। এই তরুণ নিজেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে এ কথা বলেছেন।

সেবিন প্রথমে ওয়াশিং মেশিনটির নকশা করেন, এ জন্য তাঁকে বিশেষ এক ধরনের কলিপার (ব্যাস মাপার যন্ত্র) ব্যবহার করতে হয়েছে। সেই নকশা ধরে তিনি নিজেই সেটি তৈরি করেন। একটি সাধারণ ওয়াশিং মেশিনে কাপড় কাচা, ধোয়া ও শুকানো সবই হয়। প্রদর্শনের দিন সেবিন তাঁর তৈরি ওয়াশিং মেশিনে সবই করে দেখিয়েছেন।

প্রদর্শনের দিন বহু মানুষ ভিড় করে সেবিনের লিলিপুট ওয়াশিং মেশিনের কাজ দেখেন। সেদিন সেবিন প্রথমে তাঁর ওয়াশিং মেশিনে এক চিমটি গুঁড়া সাবান দেন। তারপর পানি ভরে সেটির মুখ বন্ধ করে চালিয়ে দেন। মেশিনটি ধাপে ধাপে কাজ করে যায়। কাপড় কাচা, ধোয়া ও শুকানোর পর শুরু হয় মেশিনের মাপজোখ। মাপামাপি শেষে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ওয়াশিং মেশিনের স্বীকৃতি দেওয়া হলে উপস্থিত সবাই হাততালি দিয়ে ওঠেন।