ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে রাস্তায় ভেঙে পড়ে গাছ। সেগুলো কেটে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। শুক্রবার ওডিশার ভদ্রকে
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে রাস্তায় ভেঙে পড়ে গাছ। সেগুলো কেটে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। শুক্রবার ওডিশার ভদ্রকে

ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ওডিশায় ক্ষতির মুখে প্রায় ৩৬ লাখ মানুষ

ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ভারতের ওডিশা রাজ্যের ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছেন। রাজ্যটির ১৪ জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। রোববার রাজ্যের রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সুরেশ পূজারি এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সাংবাদিকদের সুরেশ পূজারি বলেন, ঘূর্ণিঝড় থেকে সুরক্ষার জন্য ওডিশার ৮ লাখ ১০ হাজার ৮৯৬ জনকে ৬ হাজার ২১০টি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কেন্দ্রপাড়া, বালাসোর ও ভদ্রক জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

ঘূর্ণিঝড়ের সময় মানুষের সুরক্ষায় কাজ করা ব্যক্তিদের প্রতি প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। তিনি বলেছেন, ‘মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যের কোটায় রাখার লক্ষ্য নিয়ে দলবদ্ধভাবে কাজ করায় আমি সব মন্ত্রী, বিধায়ক, এমপি ও সরকারি কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই। জনগণকে রক্ষা করতে ও তাঁদের প্রয়োজনীয় জরুরি সেবা দিতে তাঁরা দিন-রাত কাজ করেছেন।’

ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের তথ্যমতে, গত শুক্রবার রাতে ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় দানা। এ সময় ঘূর্ণিঝড়টি গতি ছিল ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। দানার প্রভাবে ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। টানা বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।