বরাবর কংগ্রেসের বিরোধী ছিলেন যোগেন্দ্র যাদব। প্রবল সমালোচকও তিনি। আন্না হাজারের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের হাতে হাত মিলিয়ে গড়ে তুলেছিলেন আম আদমি পার্টি। পরবর্তী সময়ে নিজেদের মধ্যে বিরোধ। যোগেন্দ্র যাদব গড়ে তোলেন নতুন দল ‘স্বরাজ ইন্ডিয়া’। কংগ্রেসের ঘোর সমালোচক হয়েও ‘ভারত জোড়ো যাত্রার’ শরিক তিনি। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে হেঁটে কন্যাকুমারী থেকে দিল্লি এসেছেন। যাবেন শ্রীনগর। কেন, কী কারণে আজ কংগ্রেসের আন্দোলনে যোগদান, দেশের চলমান রাজনীতি, রাহুলের মূল্যায়ন এবং ভারত জোড়ো যাত্রার ভবিষ্যৎ প্রথম আলোকে ব্যাখ্যা করলেন যোগেন্দ্র যাদব। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর নয়াদিল্লি প্রতিনিধি সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুরোনো প্রশ্ন দিয়েই শুরু করি। ভারত জোড়ো যাত্রার শরিক কেন হলেন?
যোগেন্দ্র যাদব: আপনি জানেন, অন্যরাও, আমি কংগ্রেসের সঙ্গে কখনো যুক্ত ছিলাম না। বরং তাদের সমালোচনা করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। যেমন ২০১১–২০১২ সালের বিখ্যাত দুর্নীতিবিরোধী ও লোকপাল আন্দোলন। কিন্তু এখন দেশ যে সংকটের মধ্য দিয়ে চলেছে, তাতে বাকি সব ঢাকা পড়ে গেছে। এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় বিষয় ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ভিত অটুট রাখা। সংবিধান প্রতিদিন লঙ্ঘিত হচ্ছে। স্বাধীনতাসংগ্রাম ও দক্ষিণ এশীয় সভ্যতার মূল্যবোধগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় প্রজাতন্ত্র আজ প্রবল সংকটের মুখে। এই অবস্থায় ক্ষুদ্র রাজনৈতিক সংঘাত আমার কাছে অর্থহীন। বাড়িতে যখন আগুন লাগে, তখন সেটা নেভানোই সবচেয়ে বড় কাজ। কে কোন রঙের বালতি ভরে পানি আনছে, কার সঙ্গে বাক্যালাপ বন্ধ, সেসব ভাবা তখন অপ্রাসঙ্গিক। ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস পার্টি এই অধঃপতন রুখতে উদ্যোগী হয়েছেন। ঘৃণা ও মিথ্যার রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। সেই কারণে দ্বিধাহীন চিত্তে এই যাত্রায় সঙ্গী হয়েছি। এর অর্থ এই নয় যে আমরা কংগ্রেস কিংবা রাহুল গান্ধীকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখছি। কংগ্রেসের বিরোধিতা আগে করেছি, প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতেও করব। কিন্তু এই সন্ধিক্ষণে নয়।
কেরালায় সিপিএম যোগ দেয়নি রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার দরুন। কিন্তু তাদের কাশ্মীরি নেতা ইউসুফ তারিগামি যোগ দেবেন শোনা যাচ্ছে।
যোগেন্দ্র যাদব: শুরুতে কেরালার সিপিএম যাত্রার বিরোধিতায় বিবৃতিও দিয়েছিল। কিন্তু পরে তারা কিছু বলেনি। যাত্রার বিরোধিতাও করছে না। তারাও বুঝেছে এই যাত্রা দেশের মঙ্গলের জন্য।
যাত্রা শুরুর আগে আপনারা ঘোষণা করেছিলেন শতাধিক দল, সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, এনজিও, বিশিষ্ট নাগরিকদের মঞ্চ যাত্রাসঙ্গী হবেন। কতজন এসেছেন?
যোগেন্দ্র যাদব: শুনলে অবাক হবেন, ছোট, মাঝারি, বড় মিলিয়ে দুই শতাধিক সংগঠন এই যাত্রায় অংশ নিচ্ছে! আগস্ট মাসে যখন এই যাত্রার ঘোষণা হয়েছিল, তখন অনেকেই মনে করেছিলেন নীতিগতভাবে সমর্থন থাকলেও সশরীর যাত্রাসঙ্গী হওয়া ঠিক হবে না। কিন্তু যখন যাত্রা শুরু হলো, যখন তাঁরা প্রতিক্রিয়া দেখলেন এবং কংগ্রেস, বিশেষ করে রাহুল গান্ধীর খোলামেলা মনের পরিচয় পেলেন, তখন তাঁরা আর পিছিয়ে থাকতে পারলেন না। যাত্রায় যোগ দিলেন। তবে অতি বামপন্থীরা এবং সিপিএম–ঘনিষ্ঠ কিছু সংগঠন এখনো দ্বিধান্বিত।
এই যাত্রা সার্থক মনে করলে কীভাবে তা ব্যাখ্যা করবেন?
যোগেন্দ্র যাদব: এই যাত্রা আমার প্রত্যাশা ছাপিয়ে গেছে। কর্তৃত্ববাদের দাপাদাপিতে যাঁরা আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন, লাখ লাখ মানুষকে হাঁটতে দেখে তাঁরা আজ উজ্জীবিত। এই যাত্রা শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের একাকিত্ব ঘুচিয়ে দিয়েছে। মনের জড়তা, নীরবতা, দ্বিধাদ্বন্দ্ব দূর করে দিয়েছে। বোধোদয় ঘটিয়েছে। বুঝিয়েছে, যারা ঘৃণা ছড়ায়, হিংসা ছড়ায় তারা সংখ্যায় নিতান্ত কম। বেশির ভাগ মানুষই তাদের বিরুদ্ধে। এত দিনে আমি একজন সাধারণ মানুষেরও দেখা পাইনি, যিনি এই যাত্রার বিরুদ্ধে। এটা সাফল্যের প্রথম ব্যাখ্যা। দ্বিতীয়ত, এই যাত্রা রাহুল গান্ধীর ভাবমূর্তি সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। যাঁরা তাঁকে জানেন, তাঁদের কথা বলছি না। যাঁরা জানেন না, সাধারণ মানুষ, রাহুল সম্পর্কে তাঁদের ধারণা ১৮০ ডিগ্রি বদলে গেছে। যাঁরা তাঁকে ‘পাপ্পু’ বলতেন, উদ্ধত ও উদাসীন ভাবতেন, তাঁদের চোখে রাহুল আজ সহানুভূতিশীল, কাছের মানুষ, উষ্ণ। সবচেয়ে বড় কথা, মানুষ বুঝেছে, তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে নন। চাইলেই তাঁর কাছে পৌঁছানো যায়। দেশ সম্পর্কে, দেশের মানুষজন, ঐতিহ্য সম্পর্কে তাঁর সম্যক ধারণা আছে। রাহুল সম্পর্কে এই ধারণার পরিবর্তন একটা বড় ব্যাপার। নরেন্দ্র মোদি এত দিন রাহুল সম্পর্কে সাধারণের এই অজ্ঞতাকে ব্যবহার করে এসেছেন। নিজের যাবতীয় ত্রুটিবিচ্যুতি, ভুলভ্রান্তি আগলাতে রাহুল সম্পর্কে ওই অজ্ঞতাকে হাতিয়ার করে এসেছেন। বলেছেন, হ্যাঁ, আমি হয়তো ভুল করেছি। শুধরে নেব। কিন্তু বিকল্প হিসেবে আপনারা কি পাপ্পুকে চান? তৃতীয়ত, কংগ্রেস দলটা নড়েচড়ে বসেছে। এই দেশের এক বিরাট অংশে কংগ্রেসই একমাত্র দল, যে বিজেপির সঙ্গে টক্কর দিতে পারে। কংগ্রেসের উজ্জীবিত হয়ে ওঠা সেই কারণে একটা ভালো খবর। কংগ্রেস মাথা তুলে দাঁড়ালেই ২০২৪ সালে বিজেপির মোকাবিলা সম্ভবপর।
রাজনীতির খুঁটিনাটি, মানবিক সম্পর্ক, সার্বিক বোধবুদ্ধি, ভারতীয়ত্ব ও ভারত সম্পর্কে রাহুলের ধারণার উন্নতি কি এই যাত্রা ঘটিয়েছে?
যোগেন্দ্র যাদব: সাধারণত আমি কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করি না। তবে একটা সময় আমি কংগ্রেস সম্পর্কে কড়া কথা লিখেছিলাম। তখন রাহুল সম্পর্কে বলেছিলাম, উনি অনেকের চেয়ে রাজনীতি নিয়ে বেশি আন্তরিক। লোকে যা মনে করে, তার চেয়ে উনি বেশি বুদ্ধিমান। এখনো এই ধারণা আমি পোষণ করে চলেছি। ভারতীয় সংবিধান ও মূল্যবোধের প্রতি রাহুল বিশ্বস্ত। উনি অনেক রাজনীতিকের চেয়ে বেশি পড়াশোনা করেন। আম্বেদকর, ভারতীয় জাতপাত, অর্থনীতি অনেকের চেয়ে বেশি জানেন। এটা ঠিক যে অভিজ্ঞতার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানাশোনা–শেখা এক জিনিস। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে, মানুষের সঙ্গে মিশে, তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তার মাধ্যমে দেশ ও সমস্যা সম্পর্কে জানাবোঝা অন্য। এই যাত্রা রাহুলকে সেই অভিজ্ঞতা দিয়েছে। অন্য দুটি বিষয়ও আমাকে অবাক করেছে। একটা হলো ওঁর সংকল্প। সিদ্ধান্তে অটল থাকার গোঁ। রাহুল এই দীর্ঘ পথ হাঁটবেন বলে ঠিক করলেন। তখন অনেকেই ভাবেননি তিনি এতটা পথ হাঁটতে পারবেন। বিশ্বাসই করেননি। কিন্তু তিনি হাঁটছেন। শেষ পর্যন্ত হাঁটবেন। অন্যটি ওঁর টেম্পারামেন্ট বা মানসিকতা। প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষের সঙ্গে মিশছেন। কথা বলছেন। একবারের জন্যেও মেজাজ হারাননি। বিরক্ত হননি। একজন জননেতার পক্ষে দুটোই সুলক্ষণ।
ভারত জোড়ো যাত্রার বার্তা কি জনগণের মধ্যে পৌঁছাচ্ছে?
যোগেন্দ্র যাদব: উত্তরটা হ্যাঁ এবং না দুটোই। দেশের সর্বত্র, সব কোনায় এই বার্তা এখনো পৌঁছায়নি। পৌঁছাতে দেওয়া হচ্ছে না। মিডিয়ার ব্ল্যাক আউট তার কারণ। সর্বত্র বার্তা পৌঁছাতে অনেক সময় লাগবে। নরেন্দ্র মোদি এই যাত্রা করলে মিডিয়া তা অস্ট্রেলিয়া–নিউজিল্যান্ডের গ্রামে গ্রামেও পৌঁছে দিত। তা ছাড়া যেখানে বার্তা পৌঁছেছে, সেখানে প্রতিক্রিয়া আবার মিশ্র। বার্তার চেয়েও বেশি আলোচিত হচ্ছেন বার্তাবাহক। মোটা বার্তা এটাই যে কেউ অন্তত বিজেপির মুখোমুখি হওয়ার সাহস দেখাচ্ছে। সংখ্যালঘুদের মধ্যে স্পষ্ট বার্তা অবশ্য পৌঁছে গেছে, যদিও রাহুল নিজে এ নিয়ে কিছুই বলছেন না।
এতে তো বিজেপির সুবিধা। বিজেপি তো চাইবেই কংগ্রেসকে মুসলমানদের দল বলে চিহ্নিত করে হিন্দুদের কাছ থেকে দূরে রাখতে। মেরুকরণের এই রাজনীতিতে তো তাদেরই লাভ।
যোগেন্দ্র যাদব: সেটা হতে পারে রাহুল নিজে যদি সংখ্যালঘুদের কথা বারবার উত্থাপন করেন। কিন্তু তা তিনি করছেন না। উনি ধর্ম, অঞ্চল বা দল নিয়ে কথা বলছেন না। বলছেন মূল্যবোধ নিয়ে, সৌভ্রাতৃত্ববোধ নিয়ে, একতা নিয়ে, গণতন্ত্র নিয়ে, সংবিধান নিয়ে, দেশের বৈচিত্র্যময় ঐক্য ও মঙ্গল নিয়ে। তিনি ভবিষ্যৎ ভারতের কথা বলছেন। এই প্রচেষ্টা জারি রাখতে পারলে যাত্রার উদ্দেশ্য সফল হবেই।
রাহুল গান্ধী এই যাত্রাকে দলীয় রাজনীতির সঙ্গে মেলাতে চাইছেন না। যাত্রা ছেড়ে তাই হিমাচল প্রদেশে ভোটের প্রচারে যাননি। গুজরাটে গেছেন মাত্র দুদিন। ভোট রাজনীতিতে সফল না হলে এই পদযাত্রা কি পণ্ডশ্রম নয়?
যোগেন্দ্র যাদব: ভারত জোড়ো যাত্রা রাজনৈতিক নয়, এ কথা আমি বলব না। অবশ্যই রাজনৈতিক। তবে ভোট রাজনীতি এবং গভীর রাজনীতির তফাত বুঝতে হবে। রাহুল অগভীর ভোট রাজনীতিতে আগ্রহী নন। এই যাত্রাকে ছেঁদো রাজনীতির হাতিয়ার করে তুলতে অনাগ্রহী। বরং যাত্রাকে তিনি প্রকৃত গভীর রাজনীতিতে পরিণত করতে চান। মিথ্যাচার, ধর্মান্ধতার রাজনীতির বিপরীতে নতুন আখ্যান রচনা করতে চান। এটা এক সাংস্কৃতিক লড়াই। সবাই ভাবছিল, হিন্দুত্ববাদ আঁকড়েই বাঁচা শিখতে হবে। সেই আখ্যান থেকে বেরিয়ে আসার লড়াই এই যাত্রা শুরু করেছে। এ এক দীর্ঘ লড়াই।
১০৯ দিন হাঁটার পর আপনার কি মনে হচ্ছে বিজেপি এই যাত্রাকে গুরুত্ব দিচ্ছে?
যোগেন্দ্র যাদব: প্রথম প্রথম বিজেপি উপেক্ষা করেছিল। তারপর উপহাস। তারও পর কাদা ছিটিয়েছে। ‘ভারত জোড়ো, কংগ্রেস তোড়ো’ স্লোগান দিয়েছে। রাহুলের টি–শার্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। জুতা নিয়ে কটাক্ষ করেছে। কেমন ধরনের কনটেইনারে যাত্রীরা ঘুমাচ্ছেন, তা নিয়ে ঠাট্টা–ইয়ার্কি চালিয়েছে। যখন দেখল রাহুল অদম্য, যাত্রা লাখ লাখ মানুষকে কাছে টানছে, তখন গুজরাটের ভোটের ফল তুলে ধরে যাত্রার অসার্থকতা প্রমাণে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ভারত জোড়ো যাত্রা বিজেপিকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। যাত্রা থামাতে তাই বোকার মতো করোনাতঙ্ককে হাতিয়ার করতে চাইছে। যাত্রা বন্ধে কংগ্রেসকে লেখা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর চিঠিই প্রমাণ করছে তারা কতখানি বিপর্যস্ত। ওই চিঠিই ভারত জোড়ো যাত্রার সাফল্যের সার্টিফিকেট। বিজেপি যে বিহ্বল ও অসহায়, সেই বার্তা রটে গেছে।
বিরোধী ঐক্য স্থাপনে এই যাত্রা কতটা সহায়ক হবে?
যোগেন্দ্র যাদব: এখনই তা হওয়ার নয়। বিভিন্ন বিরোধী দলের নিজস্ব অঙ্ক আছে। যখন তারা দেখবে জনতা জোটবদ্ধ হচ্ছে, তখন তারা এগোবে। মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা প্রথম কাজ। যাত্রাকে সেই কাজটা আগে করতে হবে। নেতাদের জোটবদ্ধতা পরের কাজ।
জানুয়ারিতেই তো ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ হবে। শ্রীনগরে। তারপর?
যোগেন্দ্র যাদব: মনে হয় না এই যাত্রা এককালীন। ভারত জোড়ো যাত্রার আরও পর্বের ঘোষণা না হলে আমি অবাক হব। এই আন্দোলন জারি রাখা দেশ ও প্রকৃত রাজনীতির পক্ষে মঙ্গলজনক। নিছক ভোট রাজনীতির লড়াই নয়, এটা ভারতের অন্তরাত্মা রক্ষার লড়াই। স্বাধীনতাসংগ্রামের পর এটা সেরা লড়াই। আমরা সবকিছু হারানোর মুখে দাঁড়িয়ে আছি। এ এক কঠিন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও আদর্শিক লড়াই। বিজেপি বিচলিত। ফলে বোঝা যাচ্ছে, আমরা ভালো কিছু করছি।
এত ক্লান্তি সত্ত্বেও কথা বলার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
যোগেন্দ্র যাদব: আপনাকেও ধন্যবাদ।