ভারতের পাঞ্জাবের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী ও শিরোমণি আকালি দলের (এসএডি) প্রধান সুখবীর সিং বাদলসহ দলটির বেশ কয়েক নেতাকে সাজা দিয়েছে শিখধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান ‘অকাল তখত’। ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পাঞ্জাবে ক্ষমতায় ছিল এসএডি। সে সময় সরকারের করা ‘ভুলের’ জন্য তাঁদের ভিন্ন ভিন্ন সাজা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার এসএডি নেতাদের সাজা দেয় আকাল তখত। সে অনুযায়ী, সুখবীর সিং বাদল ও রাজ্যসভার সাবেক সদস্য সুখদেব সিং ধিন্দসাকে পাঞ্জাবের অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির পাহারা দিতে হবে। আজ মঙ্গলবার থেকে পাহারা দেওয়া শুরুও করেছেন সুখবীর সিং। এ ছাড়া সুখবীর সিং ও দলের অন্যদের স্বর্ণমন্দিরের শৌচাগার পরিষ্কার, রান্নাঘরের কাজ এবং শিখদের নানা ধর্মীর আচার পালন করতে হবে।
সুখবীর সিংয়ের পায়ের হাড়ে ব্যথা থাকায় তাঁকে স্বর্ণমন্দিরের বাইরে এক জায়গায় বসে পাহারা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আকাল তখতের ঝাঠেদার জ্ঞানী রাঘবীর সিং। আর সুখদেব সিংকে পাহারা দিতে হলেও শৌচাগার পরিষ্কার করা লাগবে না। দুই দিন স্বর্ণমন্দির পাহারা দেবেন এই দুজন। এ সময় তাঁদের মন্দিরের কর্মীদের পোশাক পরতে হবে এবং হাতে একটি করে বর্শা রাখতে হবে।
সাজা হিসেবে পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদলের ‘ফখর-ই-কোয়াম’ উপাধি কেড়ে নিয়েছেন ঝাঠেদার জ্ঞানী রাঘবীর সিং। শিখ সম্প্রদায়ের কল্যাণে ভূমিকা রাখার জন্য তাঁকে ওই উপাধি দেওয়া হয়েছিল। প্রথম কোনো রাজনৈতিক নেতা হিসেবে ‘ফখর-ই-কোয়াম’ উপাধি পেয়েছিলেন প্রকাশ সিং বাদল।
এ ছাড়া ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত শিখ সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সমাধানে ব্যর্থতার কারণে এসএডি নেতাদের সমালোচনা করেছে আকাল তখত। এর মধ্যে রয়েছে ধর্ম অবমাননা, পাঞ্জাবের কোটকাপুর শহরে পুলিশের গুলি এবং পুলিশের মহাপরিচালক পদে সুমেধ সিং সাইনিকে নিয়োগের মতো ঘটনা।