ভারতের আসাম রাজ্যে এক স্কুলছাত্রী (১৪) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের নগাঁও জেলার ধিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার প্রতিবাদে নগাঁও জেলায় আজ শুক্রবার ধর্মঘট পালিত হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ে। ঘটনার সময় সে কোচিং থেকে ফিরছিল। সে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদন পেতে আরেকটু সময় লাগবে।
ধর্ষণের ঘটনায় এরই মধ্যে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম তফুজল ইসলাম। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত তিন তরুণকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই ছাত্রী রাস্তার পাশে প্রায় এক ঘণ্টা অর্ধচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল। পাশে তার সাইকেলও ছিল। স্থানীয় লোকজনই তাকে উদ্ধার করেন।
ভুক্তভোগীর বরাতে স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, ওই ছাত্রী (ভুক্তভোগী) রাস্তার পাশে পড়ে ছিল। তার সঙ্গে কী হয়েছিল, সে তা ঠিকমতো বলতে পারছে না। সে ভালোমতো কথাও বলতে পারছিল না। তবে তিন তরুণ তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছে।
এ ঘটনায় নগাঁও জেলায় আজ ধর্মঘট পালিত হয়। দোকানপাট, শপিং মল ও স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
রাজ্যের পুলিশপ্রধান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘আমরা অপরাধীদের গ্রেপ্তার করব। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
৯ আগস্ট কলকাতার আর জি কর হাসপাতাল থেকে ৩১ বছর বয়সী এক নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, তাঁকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় সারা ভারতে চিকিৎসকেরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ১১ দিন কর্মবিরতি শেষে গতকাল থেকে তাঁরা কাজে ফিরতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে আসামে এই স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ঘটল।