দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে প্রথমে ভারতের গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, পরে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নরেন্দ্র মোদির বাড়ি নেই, গাড়ি নেই, কৃষিজমিও নেই। কিন্তু তিনি কোটিপতি। বারানসি কেন্দ্র থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তাঁর সম্পদের এই হিসাব জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় নরেন্দ্র মোদি আরও জানিয়েছেন, স্ত্রী যশোদাবেন কী করেন, তা তিনি জানেন না। যশোদাবেনের পেশা কী, তাঁর জানা নেই। তাঁর আয়ের উৎস কী, তা–ও জানা নেই। তিনি কিছু আয় করেন কি না, কিংবা কোনো সম্পত্তি আছে কি না, তা–ও তাঁর অজানা। এ–ও জানেন না, স্ত্রীর কোনো ঋণ আছে কি না, কিংবা সরকারের কোনো বকেয়া রয়েছে কি না।
প্রধানমন্ত্রী মোদি অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁরও কোনো ঋণ নেই। তাঁর কাছে সরকারেরও কোনো বকেয়া নেই। নেই গাড়ি, বাড়ি, জমিজমা। পাশাপাশি জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলাও নেই। বন্ড অথবা মিউচুয়াল ফান্ডে তিনি বিনিয়োগও করেননি।
তাহলে মোদি কোটিপতি কীভাবে? তিনি জানিয়েছেন, তাঁর আয়ের উৎস প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া বেতন ও সঞ্চয়ের সুদ। তাঁর মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি ২ লাখ ৬ হাজার ৮৮৯ রুপি। স্থায়ী আমানত রয়েছে ২ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার ৩৩৮ রুপি। হাতে নগদ ৫২ হাজার ৯২০ রুপি। গান্ধীনগর ও বারানসির ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে ৮০ হাজার ৩০৪ রুপি।
এই সম্পদের বাইরে মোদির রয়েছে ৯ লাখ ১২ হাজার ৩৯৮ রুপির জাতীয় সঞ্চয়পত্র (এনএসসি)। আর আছে ৪টি সোনার আংটি, যার মূল্য ২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫০ রুপি।
মোদি জানিয়েছেন, তিনি গুজরাট থেকে স্কুল পাস করে স্নাতক হয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এমএ করেছেন আমেদাবাদের গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। জানিয়েছেন, রাজনীতিই তাঁর পেশা। হলফনামায় মোদি নিজের ফোন নম্বর ও ই–মেইল আইডিও জানিয়ে দিয়েছেন।