পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজে গত ৯ আগস্ট নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী সোমবার ধার্য করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে সর্বোচ্চ আদালত এ মামলার শুনানির দিন গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ধার্য করেছিলেন। কিন্তু এদিন প্রধান বিচারপতি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। এতে মামলার শুনানির দিন নতুন করে ধার্য করা হয়।
পরবর্তী শুনানির দিন সোমবার মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করতে পারেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আর দেশবাসীও তাকিয়ে আছেন, ওই শুনানির দিকে। অপেক্ষায় আছেন, সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেন।
ইতিমধ্যে আদালতের পূর্বনির্দেশ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টে মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া সংস্থা সিবিআই। সোমবার সেই প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করতে পারেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আর দেশবাসীও তাকিয়ে আছেন ওই শুনানির দিকে। অপেক্ষায় আছেন, সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেন।
চিকিৎসক ধর্ষণ–হত্যার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে করা মামলার প্রথম পর্বের শুনানি ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ২২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে এ শুনানি হয়। বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতি হলেন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্র।
প্রথম দিনের শুনানিকালে বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা মন্তব্য করেন, তাঁর ৩০ বছরের জীবনে পুলিশের এ রকম হত্যা মামলা গ্রহণের নজির তিনি দেখেননি।
সুপ্রিম কোর্ট ওই দিনের শুনানিতে নারী চিকিৎসককে হত্যার ঘটনায় এফআইআর নিয়ে টালবাহানা, সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের পর ইউডি বা অপমৃত্যুর মামলা করার মতো বিভিন্ন পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেন। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়ে দেন, সিবিআইয়ের তদন্ত চলবে। মামলায় কলকাতার এক পুলিশ কর্মকর্তাকেও সুপ্রিম কোর্ট হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্ট ওই দিন প্রশ্ন তোলেন, চিকিৎসকের মরদেহ পাওয়ার ১৪ ঘণ্টা পর ও ময়নাতদন্ত শেষে কেন ইউডি মামলার রেকর্ড হলো? ওই ঘটনায় সর্বোচ্চ আদালত আন্দোলনে যোগ দেওয়া কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ারও নির্দেশ দেন। নির্দেশ দেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা না দেওয়ারও।
এদিকে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ওই ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদের ঝড় এখনো বইছে। বিক্ষোভ-মিছিলে প্রতিদিনই উত্তপ্ত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি করছেন বিক্ষোভকারীরা। আর এ ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রেখেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই।