দু–একবার নয়, ১৮ বার নির্বাচন করে হেরেছেন। শুধু হেরেছেন তা নয়, রীতিমতো জামানত হারিয়েছেন। এরপরও দমার পাত্র নন ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা প্রমানন্দ তোলানি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
এবিপি লাইভের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাড়ে তিন দশক ধরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছেন এই আবাসন ব্যবসায়ী। ৬৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তির দাবি, নির্বাচনে লড়লে তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়ে। যদিও প্রতিবারই তিনি জামানত হারিয়েছেন।
একের পর এক নির্বাচনে হেরে ‘ইন্দোরি ধরতি পাকড়’ উপাধি পেয়েছেন তোলানি। প্রয়াত জোগিন্দর সিং ওরফে ‘ধরতি পাকড়ের’ নাম অনুসারে তাঁকে এ উপাধি দেওয়া হয়। উত্তর প্রদেশের বেরেলি থেকে বেশ কয়েকবার নির্বাচন করে হেরে যান জোগিন্দর সিং। ‘ধরতি পাকড়ের’ অর্থ করলে দাঁড়ায় মাটি কামড়ে পড়ে থাকা।
আগামী ১৭ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। এই নির্বাচনে ইন্দোর–৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন তোলানি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তোলানি বলেন, ‘এ নিয়ে আমি ১৯তমবারের মতো লড়ছি। এর মধ্যে রয়েছে লোকসভা, বিধানসভা ও মেয়র নির্বাচন। ইন্দোরের মানুষ খুবই মেধাবী। আমি আশা করি, তাঁরা অবশ্যই আমাকে কোনো না কোনো সময় বিজয়ী করবেন।’
তোলানি বলেন, এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হলে এক হাজার বর্গফুটের ভবনের ওপর থেকে সম্পূর্ণ কর মওকুফের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করবেন। এ ছাড়া বাসাবাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহের ওপর পৌরসভার আরোপিত করও বাদ দেবেন।
তোলানির বংশ রাজনীতির সঙ্গে তেমন সম্পৃক্ত নয়। তবে গত দুই প্রজন্ম নির্বাচনে বারবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিবারটি পরিচিতি পেয়েছে। তোলানির বাবা মেথারাম তোলানিও ৩০ বছর বিভিন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে তিনিও জয়ের মুখ দেখেননি।
এ ছাড়া তোলানির স্ত্রী লক্ষ্মী তোলানিও একবার মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ওই সময় নারী প্রার্থীর জন্য মেয়র পদটি সংরক্ষিত ছিল। তোলানির মেয়ে নিশাও পরিবারের সদস্যদের নির্বাচনে লড়ার এই ধারায় ভবিষ্যতে যুক্ত হওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।