ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিষ্ণুপুর থেকে নির্বাচিত বিজেপির সংসদ সদস্য সৌমিত্র খান বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া না হলে এটি বাংলাদেশের একটি অংশে পরিণত হবে। লোকসভায় উপস্থিত তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্যদের দেখিয়ে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এতটাই মুসলিম তুষ্টকরণ ঘটছে যে ১০ বছর পর তারা (হিন্দুরা) আর রাজ্য থেকে সংসদে আসবে না।
গতকাল মঙ্গলবার লোকসভায় এসব কথা বলেন সৌমিত্র খান। হিন্দিতে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, সেখানে (পশ্চিমবঙ্গে) মুসলমান রাষ্ট্র কায়েম হয়ে গেছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সেখানে হিন্দুরা জয় শ্রীরাম বলতে পারে না, সরস্বতী ও কালীপূজা করতে পারে না।
অবশ্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তথ্যগতভাবে এই পরিসংখ্যান সঠিক নয়। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা গত ১০ বছরে প্রবলভাবে বেড়েছে। তৃণমূলের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জনসভায় বিজেপির এই বক্তব্যের কড়া বিরোধিতা করেছেন।
সৌমিত্র খান আরও অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া নির্বাচন করা যাচ্ছে না। বাংলায় এটি একটি ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে যে তারা রাজ্যপাল, রাষ্ট্রপতি ও আদালতের কথা শুনবে না।
লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনার সময় রাজ্যের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা কেন্দ্রের ভেতরে বিজেপির পোলিং এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন বিজেপির এই সংসদ সদস্য। তিনি বলেন, এভাবেই ধীরে ধীরে হিন্দুরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে উধাও হয়ে যাবে।
তৃণমূল কংগ্রেস ধারাবাহিকভাবে রাজ্যে বিরোধীদের হত্যা করছে—লোকসভায় এমন দাবি করে সৌমিত্র খান বলেন, ‘তারা (তৃণমূল কংগ্রেস) বিরোধীদের কথা বলে, কিন্তু তারা নিজেরা দুই শরও বেশি বিজেপি কর্মীকে হত্যা করেছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনের পর আমাদের যুব মোর্চার কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। রাজ্যে কোনো স্বাধীনতা নেই। বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য কোচবিহারে এক নারীকে নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরানো হয়েছে।’