সমীক্ষার নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করার নির্দেশ দেওয়া হলো ভারতের উত্তর প্রদেশের সম্ভল মসজিদ কমিটিকে। আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ জারি করে জানান, তাঁর আগে নিম্ন আদালত সমীক্ষার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবেন না। আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত মসজিদে কোনো সমীক্ষার কাজও করা যাবে না।
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ মসজিদ কমিটির আবেদন শুনে বলেন, হাইকোর্টের অভিমত না শুনে সমীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশ করা যাবে না। তা সিল করা খামে রাখতে হবে। তাঁরা জানান, তিন কর্মদিবসের মধ্যে (আগামী বুধবার) মসজিদ কমিটিকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করতে হবে।
প্রধান বিচারপতির এজলাস সম্ভলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। শান্তিশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে শান্তি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
অযোধ্যার পর কাশীতে (বারানসি) জ্ঞানবাপি মসজিদে সমীক্ষা করা হয়। একই দাবি জানানো হয়েছে মথুরায় শাহি ঈদগাহ মসজিদের ক্ষেত্রেও। এবার উত্তর প্রদেশের সম্ভলে জামা মসজিদের ক্ষেত্রেও নিম্ন আদালত সমীক্ষা করার নির্দেশ দেন। সেই মতো সমীক্ষক দল হাজির হলে ২৪ নভেম্বর সেখানে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়ে সংঘর্ষ বাধে। গুলিতে চারজন নিহত হন। আহত হন অনেকে।
উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, হরিহর (কৃষ্ণ ও শিব) মন্দির ভেঙে সম্ভলের মসজিদ তৈরি হয়েছিল। সেই কারণে ওই মসজিদের সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশ নিয়েই গোলমাল।
একই ধরনের দাবি জানানো হয়েছে রাজস্থান রাজ্যের আজমির শরিফ দরগাহর ক্ষেত্রেও। নিম্ন আদালতে রুজু করা মামলায় বলা হয়েছে, খাজা মইনুদ্দিন চিশতি দরগাহটি এক শিবমন্দিরের ওপর গড়ে তোলা হয়েছে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে (এএসআই) দিয়ে সমীক্ষা করা হলেই সত্য জানা যাবে।