পশ্চিমবঙ্গের আর জি কর হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় হাসপাতালটির সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিজিৎ মণ্ডলকে আজ রোববার আদালতে হাজির করেছে সিবিআই।
ভারতের সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা কেন্দ্রীয় অনুসন্ধান সংস্থা (সিবিআই) মামলাটির তদন্ত করছে। সন্দীপ বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। সংস্থাটি গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ঘটনার তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ এনেছে এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছেন।
সিবিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, শিয়ালদাহ আদালতে হাজির করে তাঁদের তিন দিনের রিমান্ডে চাওয়া হবে।
আদালতে জমা দেওয়া সিবিআইয়ের সম্পূরক অভিযোগপত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সন্দীপ ও অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো ভুক্তভোগীর মৃত্যুর বিষয়টি দেরিতে ঘোষণা করা হয়। এমনকি এ ঘটনায় থানায় এফআইআর দায়েরেও দেরি করা হয়। অথচ এফআইআর হলো একটি আনুষ্ঠানিক পুলিশি অভিযোগ।
এদিকে কলেজে দুর্নীতির অভিযোগে ২ সেপ্টেম্বর থেকে সন্দীপ বিচারিক হেফাজতে রয়েছেন।
এ ঘটনার তদন্তের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত এক সূত্র রয়টার্সকে বলেন, কলেজটি যে এলাকায় সেই এলাকার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তিনি অপরাধস্থলটি ঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
অভিজিৎকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে কলকাতা পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আমরা আদালতে অভিযোগটি তুলে ধরব।’
এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার এক মাস পর এই দুজন গ্রেপ্তার হন।
গত ৯ আগস্ট কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ শুরু হয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকেরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।