আবগারি (মদ) নীতি মামলায় দিল্লিতে এ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালসহ আম আদমি পার্টির (এএপি) তিন শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। অপর দুজন হলেন এএপির এমপি সঞ্জয় সিং এবং দিল্লির সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া। এ মামলায় ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) নেত্রী এবং তেলেঙ্গানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-এর মেয়ে কে কবিতাও এখন জেলে আছেন।
ভারতে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল রাতে কেজরিওয়ালের বাসভবনে যান। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২১-২২ সালে দিল্লিতে কার্যকর হওয়া আবগারি নীতিকে কেন্দ্র করে ইডির মামলাটি চলছে। ওই নীতির আওতায় ব্যবসায়ীদের জন্য মুনাফার হার অনেক বাড়ানো হয়। পাইকারি ব্যবসায়ীদের জন্য মুনাফার হার ১২ এবং খুচরা পর্যায়ে মুনাফার হার প্রায় ১৮৫ শতাংশ করা হয়। পাইকারিদের মুনাফার ১২ শতাংশের মধ্য থেকে ৬ শতাংশ ঘুষ হিসেবে নিতেন এএপি নেতারা।
এ মামলায় অভিযুক্ত কিছু ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও মধ্যস্থতাকারীদের একটি নেটওয়ার্ককে কেন্দ্র করে তদন্ত চালানো হয়েছিল। ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো এ নেটওয়ার্কের নাম দিয়েছিল সাউথ গ্রুপ। অভিযোগ আছে, এএপির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকা বিজয় নায়ারকে ১০০ কোটি রুপি অগ্রিম দিয়েছে ‘সাউথ গ্রুপ’।
ইডির অভিযোগ, আবগারি নীতি কার্যকরের কারণে দক্ষিণ ভারতের কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান (সাউথ গ্রুপ) সুবিধা পেয়েছে। কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই সাউথ গ্রুপের সুবিধার্থে সিসোদিয়া এ আবগারি নীতি ব্যবহার করেছিলেন।
আবগারি নীতিকে কেন্দ্র করে দিল্লিতে এখন পর্যন্ত ১৬ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কেউ কেউ আবার সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।