ভারতের উত্তর প্রদেশে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত সাবেক সংসদ সদস্য আতিক আহমেদ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি লিখেছেন। কোনো কারণে তাঁর মৃত্যু হলে ওই চিঠি যেন তাঁদের কাছে পৌঁছানো হয়, সেই নির্দেশনা ছিল। আতিকের আইনজীবী আজ মঙ্গলবার বলেন, সিল করা ওই চিঠি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পাঠানো হচ্ছে।
আইনজীবী বিজয় মিশ্র বলেন, ‘বন্ধ খামে রাখা ওই চিঠি আমার কাছে নেই, আমি নিজে মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠাচ্ছি না। এই চিঠি অন্য কোথাও রাখা হয়েছে এবং অন্য ব্যক্তি ওই চিঠি পাঠাচ্ছেন। ওই চিঠিতে কী লেখা আছে, আমি জানি না।’
গত শনিবারে রাতে আতিক ও তাঁর ভাই আশরাফকে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিন ব্যক্তি খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করেন। এ সময় তাঁরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁদের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল।
মিশ্র বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, আতিক আহমেদ বলেছেন, যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে বা তিনি খুন হন, তাহলে বদ্ধ খামের এই চিঠি যেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ ও সাংবাদিক–বেষ্টিত ক্যামেরার সামনে যখন তিন সন্ত্রাসী আতিক ও তাঁর ভাইকে গুলি করে হত্যা করে, তখন তাঁরা হাতকড়া পরা ছিলেন। ভয়াবহ এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়। গুলিতে দুই ভাই খুনের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে পুলিশের ‘এনকাউন্টারে’ নিহত আতিকের ছেলে আসাদের দাফন সম্পন্ন হয়।
চলতি বছরের শুরুর দিকে আইনজীবী উমেশ পাল ও তাঁর দুই পুলিশ রক্ষী হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আতিক ও তাঁর ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গুজরাট ও ব্যারেলি কারাগার থেকে প্রয়াগরাজ কারাগারে আনা হয়।
আতিক তাঁর নিরাপত্তা সুরক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, উমেশ পাল হত্যার ঘটনায় তিনি ও তাঁর পরিবারকে ভুয়া মামলায় জড়ানো হয়েছে। উত্তর প্রদেশ পুলিশ ‘এনকাউন্টার’ সাজিয়ে তাঁকে হত্যা করতে পারে।