ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) বা সিপিএমদলীয় প্রার্থী মানিক সরকারের পর বিজেপির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবও প্রার্থী হচ্ছেন না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কয়েক দিন আগে সিপিএমের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, মানিক সরকার এবার ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচনে অংশ নেবেন না। আর আজ শনিবার বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে জানানো হয়, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন না।
বিপ্লব দেব ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের বিজেপিদলীয় মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে রাজ্যসভার সংসদ সদস্য করায় এবার এই পদে আনেনি বিজেপি। ২০ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকার পর ২০১৮ সালে সিপিএম নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বিদায় নেন। এরপর বিপ্লব দেব ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নেন গত বছরের ১৪ মে। গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তিনি ভারতের আইনসভার উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য হন। তাঁর ছেড়ে আসা আসনে বিজেপি মনোনয়ন দিয়েছে দলের রাজ্য শাখার সম্পাদককে।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভার ৬০টি আসনে নির্বাচন। সিপিএমদলীয় সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের ত্রিপুরার ধনপুর আসন থেকে এবার প্রার্থী করা হয়েছে কৌশিক চন্দকে। তবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী সাব্রুম। তিনি বলেন, মানিক সরকার দলের পলিটব্যুরোকে আগেই জানিয়েছেন, তিনি এখন সংগঠনকে আরও সময় দিতে চান। তাই, তাঁকে নির্বাচনে প্রার্থিতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচনে এবার সিপিএম-কংগ্রেস জোট হয়েছে। সিপিএম রাজ্যের ৬০ আসনের মধ্যে ৪৬টিতে প্রার্থী দিয়েছে। একটি আসন বাম–সমর্থিত নির্দল প্রার্থীকে দেওয়া হয়েছে। আর ১৩টি আসন দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসকে। সিপিএমে এবার প্রার্থীদের ২৪ জনই নতুন মুখ।
বিজেপিও আজ প্রথম দফায় ৫৯ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে নাম নেই বিপ্লব দেবের। তিনি ছিলেন এই রাজ্যে কংগ্রেস ও বামপন্থীদের বাইরে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তীব্র বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার পর তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে তখন আলোচনা ছিল।