'বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বিশ্বসেরা'

আগরতলা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয় বিএসএফ পরিবারের শিক্ষার্থী দল। ছবি: সংগৃহীত
আগরতলা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয় বিএসএফ পরিবারের শিক্ষার্থী দল। ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার আন্তর্জাতিক সীমান্তকে বিশ্বের সেরা সীমান্ত বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের ভারপ্রাপ্ত প্রধান অশোক কুমার যাদব।

আজ রোববার সকালে এক অনুষ্ঠানে যাদব এই মন্তব্য করেন। আজ বিএসএফ পরিবারের ২৪ শিক্ষার্থী ও এক আধিকারিক পাঁচ দিনের সফরে বাংলাদেশে রওনা হন। তাঁদের বিদায় উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এই শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করা হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের কেউ না কেউ বিএসএফে কর্মরত।

সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিনিধিদলটি আগরতলা স্থলবন্দর অতিক্রম করে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়। প্রতিনিধিদলে ১০ জন মেয়ে রয়েছেন।

জানা গেছে, দলটি প্রথমে সড়কপথে সিলেটে যাবে। সেখানে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের পর বিমানযোগে ঢাকায় যাবে। ঢাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তর থেকে তারা বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণ করবে।

দলটির যাত্রা সূচনা করেন বিএসএফের ত্রিপুরাপ্রধান অশোক কুমার যাদব। ছবি: সংগৃহীত

বিএসএফের ভারপ্রাপ্ত প্রধান যাদব প্রথম আলোকে বলেন, উভয় দেশের বাহিনীর মধ্যে আস্থা বাড়ানোর কর্মসূচির অংশ হিসেবেই এই দল পাঠানো হচ্ছে। বিজিবি তাদের আতিথেয়তা দেবে।

ইতিমধ্যে ভারতের দক্ষিণবঙ্গ থেকে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ঘুরে এসেছে। বিজিবি থেকেও শিক্ষার্থীরা ভারতে এসেছিলেন। তবে উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে এই প্রথম এ ধরনের কোনো দল বাংলাদেশে যাচ্ছে।

সীমান্তে অতিথিদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির কর্তারা। তাঁরা শিক্ষার্থীদের আখাউড়া স্থলবন্দরে বরণ করে নেন।

বিজিবির লে. কর্নেল কবির বলেন, এ ধরনের কর্মসূচি উভয় বাহিনীর মনোবল বাড়াতে সাহায্য করবে। সীমান্ত সুরক্ষায় আসবে বাড়তি সুবিধা।

বিএসএফের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভারতের পশ্চিম সীমান্তে (পাকিস্তান সীমান্ত) উত্তেজনা থাকলেও পূর্বে (বাংলাদেশ সীমান্ত) রয়েছে বন্ধুত্ব। দুনিয়ার সবচেয়ে ভালো ভারতের পূর্ব দিকের এই সীমান্ত।