ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারাভিযান শেষে হতে না হতেই উত্তরাখন্ডের কেদারনাথে গিয়ে ধ্যানে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গুহায় বসে তাঁর সেই ধ্যানের ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে গুহা বলতে যা বোঝায়, কেদারনাথের ওই গুহা তেমনটা নয়। সেখানকার ভাড়া দৈনিক ৯৯০ রুপি। রয়েছে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।
কেদারনাথ মন্দির থেকে প্রায় এক কিলোমিটার উঁচুতে পাথর নির্মিত গুহাটির অবস্থান। এর দরজা কাঠের তৈরি। গুহা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান গাড়োয়াল মণ্ডল বিকাশ নিগম (জিএমভিএন) গুহায় অবস্থান করা পর্যটকের চাহিদা অনুসারে সকালের নাশতা, দুপুর ও রাতের খাবার এবং দুই দফা চা-পানের সুযোগ দিয়ে থাকে। রয়েছে বিদ্যুৎ, শৌচাগার, খাওয়ার পানিসহ আরও সুবিধা। এ ছাড়া গুহায় অবস্থানকারীর জন্য সার্বক্ষণিক সহকারী থাকেন। জরুরি প্রয়োজনের জন্য রয়েছে টেলিফোন সুবিধাও।
কেদারনাথের গুহার ভাড়া বর্তমানে দিনে ৯৯০ রুপি। তবে শুরুতে ভাড়া আরও বেশি ছিল। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত বছর যখন গুহাটি চালু করা হয়, তখন এর ভাড়া ছিল ৩ হাজার রুপি। কিন্তু পর্যাপ্ত পর্যটক না পাওয়ায় পরে ভাড়া কমানো হয়। ধ্যানের বিষয়টি জনপ্রিয় করতে গত বছর কেদারনাথে আধুনিক সুবিধাসংবলিত গুহা নির্মাণ করে জিএমভিএন। এর নাম দেওয়া হয় ‘রুদ্র ধ্যান গুহা’। জিএমভিএন কর্তৃপক্ষ বলেছে, মোদির পরামর্শেই তারা গুহাটি নির্মাণ করেছে।
এদিকে মোদির ধ্যানের ঘটনায় খানিকটা বিপাকে পড়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, ধ্যানের ছবি প্রকাশের মাধ্যমে মোদি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। কারণ, ওই ছবি গণমাধ্যমে এসেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও মোদির ওই ছবি প্রকাশের ঘটনার সমালোচনা করেছে। তবে মোদির দাবি, তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই ধ্যানে বসেছিলেন।