আগামী ৮ আগস্ট রাষ্ট্রপতি ভবন বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির হাতে তুলে দেবেন ভারতরত্ন সম্মাননা। গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এ তথ্য জানানো হয়। গত ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে প্রণব মুখার্জিকে সর্বোচ্চ এই নাগরিক সম্মাননা প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়।
প্রণব মুখার্জি ছিলেন ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি। ২০১২ সালের ২৫ জুলাই ভারতের ১৩তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই তাঁর মেয়াদ শেষ হয়। ১৯৩৫ সালের ১১ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের কীর্ণাহারে জন্ম নেন এই রাজনীতিবিদ। রাজনৈতিক জীবনও শুরু পশ্চিমবঙ্গ থেকে। তিনি বিভিন্ন সময় ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পরিকল্পনা কমিশনের উচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জি ২০১৫ সালে মারা যান। বর্তমানে তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। ২০০৮ সালে রাষ্ট্রীয় সম্মান পদ্মভূষণ খেতাবে অর্জন করেন তিনি।
২৫ জানুয়ারি ভারতরত্ন সম্মানের জন্য প্রণব মুখার্জির নাম ঘোষণার পর তাঁকে অভিনন্দন জানান সব দলের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। কংগ্রেস সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী এক টুইট বার্তায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘ভারতরত্ন সম্মান পাওয়ায় প্রণবদাকে অভিনন্দন। আমাদের একজনের অপরিসীম অবদান যে স্বীকৃতি পেল, তা কংগ্রেসের কাছে অত্যন্ত গর্বের।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করেন, ‘প্রণব মুখার্জি আমাদের সময়ের অসাধারণ রাষ্ট্রনায়ক। নিঃস্বার্থ ও অক্লান্তভাবে দশকের পর দশক ধরে দেশের সেবা করেছেন। তাঁর প্রজ্ঞা ও মেধার তুলনা হয় না। তাঁকে ভারতরত্ন দেওয়ায় আমি খুশি।’
ভারতরত্ন পাওয়ার পর প্রণব মুখার্জি এক টুইট বার্তায় তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছিলেন, ‘এই প্রাপ্তি গোটা জীবনের কাজের স্বীকৃতি তো বটে, বাঙালি হিসেবেও গর্বিত। আমি সব সময় বলেছি , আজ আবার বলছি, এই মহান দেশের মানুষদের যতটা না দিতে পেরেছি, তার থেকে অনেক বেশি পেয়েছি।’
প্রণব মুখার্জির আগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরও ছয়জন এই ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। তাঁরা হলেন চিকিৎসক বিধানচন্দ্র রায় (১৯৬১), মাদার তেরেসা (১৯৮০), সত্যজিৎ রায় (১৯৯২), অরুণা আসফ অলি (১৯৯৭), অধ্যাপক অমর্ত্য সেন (১৯৯৯), পণ্ডিত রবিশংকর (১৯৯৯)।