পুষ্টিবিদ অঙ্কিতা গুচাইত বুঝতে পারছিলেন মোটা হয়ে যাচ্ছেন। অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছেন। ঠিক করে ফেললেন, যে করেই হোক ওজন কমাতে হবে।
২৪ বছরের ভারতীয় পুষ্টিবিদ অঙ্কিতার ওজন পৌঁছেছিল ৯৬ কেজিতে। মাত্র ৭ মাসে বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলেন তিনি। কমিয়ে ফেলেন ৩৭ কেজি। এখন তাঁর ওজন ৫৯ কেজি। এত দ্রুত ওজন কমানো যেন এক রহস্য। সে কারণেই এক সাক্ষাৎকারের আয়োজন করে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
ওজন কমাতে অঙ্কিতা খাদ্যাভ্যাস বদলান। প্রতিদিন সকালে ব্ল্যাক কফি বা গ্রিন টির সঙ্গে ফলফলাদি, সবুজ সবজি দিয়ে ডিমের সাদা অংশের অমলেট ছিল তাঁর নাস্তা। দুপুরে খেতেন একটি স্যান্ডউইচ বা সালাদ, সঙ্গে থাকত এক বাটি স্যুপ আর সামান্য কিছু ফল। রাতের খাবারে থাকত লাল চালের ভাতের সঙ্গে শিম বা এক বাটি ডাল। মাঝেমধ্যে ডায়েটে ফাঁকি দিয়ে দু-এক টুকরো চকলেট বা ডেজার্টও খেয়ে ফেলতেন।
সাপ্তাহিক রুটিন বানিয়ে শরীরচর্চাও করতেন অঙ্কিতা। প্রতিদিন ১০ মিনিট খালি হাতে ব্যায়াম করে গা গরম করে নিতেন। ৫০ মিনিট দৌড়াতেন। এরপর আরও প্রায় ৪০ মিনিটের সেশনে ভারোত্তলন বা স্ট্রেচিং করতেন। শুক্র এবং রোববার ছিল শারীরিক চর্চার ছুটির দিন। স্বল্প ক্যালরির খাবার হিসেবে অঙ্কিতা ডিম, মুরগি আর স্মুদির ওপর নির্ভরশীল ছিলেন।
ধৈর্য ধরে টানা সাত মাস এমন কষ্টসাধ্য পরিশ্রম করেছেন। তবে প্রতি সপ্তাহেই রুটিন বদলাতেন। কখনও খাবার বেশি কমাতেন, কখনও শরীরচর্চা বাড়িয়ে দিতেন। কখনও উপবাস করতেন। এভাবে একঘেয়েমি দূর করতেন। কত দূর কী লক্ষ্য অর্জন হচ্ছে তাও লিখে রাখতেন।
ওজন কমানোর প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া একদম ছেড়ে দিয়েছেন অঙ্কিতা। বলেন, এতে খুব উপকৃত হয়েছেন তিনি। অঙ্কিতার দাবি, ৭ মাসের এই যাত্রা তাঁকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে দৃঢ় করেছে।