স্বেচ্ছায় সহমরণ!

ভারতের বিহার রাজ্যের সহর্স জেলার পারমিনিয়া গ্রামে মৃত স্বামীর সঙ্গে চিতায় পুড়ে মারা গেছেন এক বয়স্ক নারী। পুলিশের দাবি, ওই নারী ‘সতী’ প্রথা পালনে স্বেচ্ছায় তাঁর স্বামীর চিতায় ঝাঁপ দিয়েছেন।
ওই দম্পতির ছেলে রমেশ মণ্ডলের দাবি, তাঁর মা ‘সতীদাহে’ যাননি। ক্যানসারে ভোগা বাবার মৃত্যু-সংবাদ পাওয়ার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। এ জন্য একই চিতায় তাঁদের শেষকৃত্য করা হয়।
ওই নারীর নাম দয়া দেবী (৬৫)। তাঁর স্বামীর নাম চরিত্র যাদব।
সহর্সের পুলিশ কর্মকর্তা প্রেম সাগরের দাবি, চরিত্র যাদবের শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর দয়া দেবীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর তাঁরা চিতার কাছে যান। সেখানে চিতায় দয়া দেবীকে আগুনে জ্বলতে দেখা যায়।
পুলিশের দাবি, ঘটনার পর এলাকার কিছু লোকজন পুলিশকে বিষয়টি জানায়। দয়া দেবীকে আগুনে পুড়তে দেখে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধারের কোনো চেষ্টা করেনি বলেও দাবি করেন তাঁরা।
সহর্স জেলার পুলিশ সুপার পংকজ সিনহার দাবি, জ্বলন্ত চিতা রেখে বাড়ির লোকজন সৎকার শেষে চলে যাওয়ার সুযোগ নিয়েছেন দয়া দেবী। মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনাটি ঘটেছে।
১৯৮৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাজস্থান রাজ্যের সিকার জেলার দেওয়ালা গ্রামে স্বামীর চিতায় ঝাঁপ দিয়ে ‘সতী’ হয়েছিলেন রাজপুত বধূ রূপ কানোয়ার (১৮)। এ ঘটনার পর রূপ কানোয়ারকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে ৪৫ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত আদালত সবাইকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। এ ঘটনার পর ওই গ্রামে রূপ কানোয়ারের স্মরণে ‘সতী’ মন্দির নির্মাণ করা হয়।