অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঠেকাতে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম রাজ্যের সীমান্তে অত্যাধুনিক সেন্সর ব্যবস্থা চালু করছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সেন্সর ব্যবস্থার মাধ্যমে সীমান্তে অনুপ্রবেশ বা চোরাচালানের ঘটনার তাৎক্ষণিক সংকেত পেয়ে ব্যবস্থা নিতে পারবে বিএসএফ। গতকাল বৃহস্পতিবার কলকাতার লর্ড সিনহা রোডের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে বিএসএফের ইস্টার্ন কমান্ডের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিএসএফের ইস্টার্ন কমান্ডের অধীনে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও মিজোরাম সীমান্ত। এই পাঁচ রাজ্যের সীমান্ত এলাকা ৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকা সাউথ বেঙ্গল ও নর্থ বেঙ্গল নামে দুটি পৃথক ফ্রন্টিয়ারে বিভক্ত।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বিএসএফের ইস্টার্ন কমান্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) ওয়াই বি খুরানিয়া বলেন, সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঠেকাতে সেন্সর প্রযুক্তি বসানো হচ্ছে। এই সেন্সর লুকানো থাকবে মাটির নিচে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান করতে গেলে সংকেত পেয়ে ব্যবস্থা নেবে বিএসএফ।
ওয়াই বি খুরানিয়া বলেন, সেন্সরের কাছ দিয়ে কেউ যাতায়াত করতে গেলে সংকেত চলে যাবে বিএসএফের কাছে। শুধু তা–ই নয়, বসানো হবে বুলেট ক্যামেরা ও সিসিটিভি ক্যামেরা। এর সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় যথেষ্ট আলোর ব্যবস্থা রাখা হবে, যাতে করে চোরাকারবারি ও অনুপ্রবেশকারীদের দূর থেকেও দেখা যাবে। এর মাধ্যমে স্মার্ট সল্যুশনের সাহায্যে সীমান্তের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা যাবে। এ কাজের জন্য সীমান্ত এলাকায় সব ধরনের সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
খুরানিয়া বলেন, সীমান্তে এখন নারী কনস্টেবলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ও সড়ক নির্মাণের কাজও দ্রুতগতিতে চলছে।
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে কোনো সমস্যা আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে এডিজি খুরানিয়া বলেন, আপাতত এটা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
সিবিআইয়ের তদন্তে দেখা গেছে সীমান্তে গরু পাচারের সঙ্গে বিএসএফ জড়িত, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে খুরানিয়া বলেন, ‘কেউ যেন এ ধরনের কাজে জড়িয়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে সীমান্তে নজরদারি ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া আমরা কোনো অভিযোগ পেলে বিভাগীয় তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করি।’