একদিকে মাওবাদীদের পুরোনো নেতৃত্ব শেষ হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে রাষ্ট্রের ক্ষমতা বাড়ছে। নেতৃত্বের সাবেক একটি অংশ মনে করছে, জঙ্গলে থেকে আন্দোলন করার দিন শেষ।
ভারতের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া-মাওয়িস্ট (সিপিআই-মাওয়িস্ট), মাওবাদী বলে যাদের চিহ্নিত করা হয়, তারা যে ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ছে, তা আরও একবার বোঝা গেল গত নভেম্বরের ১৩ তারিখে। ওই দিন ভোররাতে মাওবাদীদের অন্তত ২৬ জন মারা গেলেন নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মিলিন্দ তেলতুম্বড়ে, মাওবাদীদের সর্বোচ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। কেন্দ্রীয় কমিটির অনেকেই মারা গেছেন, কিন্তু এই মৃত্যুর গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ, মাওবাদীদের পুরোনো নেতৃত্ব ধীরে ধীরে শেষ হচ্ছে, তাদের অঞ্চলে রাষ্ট্রের ক্ষমতাও বাড়ছে।
মাওবাদী নেতৃত্বের বেশ ওপরের দিকে থাকা ৫০ বছর বয়সের শামবালা রবিন্দর দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গল জেলার গ্রাম থামবালাপল্লের বাড়িতে বসে বছরখানেক আগে বলছিলেন, তিনি মনে করেন দলের শক্তি ফুরিয়ে আসছে।
‘সবকিছুর পরিবর্তন ঘটছে। তার সঙ্গে সঙ্গে দলের নীতিরও পরিবর্তন প্রয়োজন, যা হচ্ছে না। এখনো মাওবাদীরা মনে করেন ১৯৪৯ সালে চীন বিপ্লবের ধাঁচে ভারতে সশস্ত্র আন্দোলন সম্ভব,’ বলছিলেন রবিন্দর, যিনি দক্ষিণ ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনে মাওবাদী গেরিলা সেনা পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির (পিএলজিএ) দুটি কমান্ডের একটির প্রধান ছিলেন।
মাও সে–তুংয়ের নেতৃত্বে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নীতি ছিল জায়গায় জায়গায় কৃষক-সৈনিকদের বাহিনী গড়ে তুলে পার্টির মুক্তাঞ্চল তৈরি করা। তারপর সেই মুক্তাঞ্চলগুলোকে জুড়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা। এভাবে বৃহৎ মুক্তাঞ্চল গড়ে তোলা আর সম্ভব নয় বলে রবিন্দর মনে করেন।
পার্টি সম্পর্কে তাঁর হতাশ হওয়া স্বাভাবিক কারণ, প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি এই দলের সঙ্গে কাটিয়েছেন। ১৯৯০ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে থামবালাপল্লে থেকে ৮০ জনের সঙ্গে বাসে চড়ে রবিন্দর চলে গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলির জঙ্গলে, যেখানে গত নভেম্বরে পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন মাওবাদীরা।
এরপরের আড়াই দশকে রবিন্দর মাওবাদী পার্টির একজন অন্যতম প্রধান কমান্ডারে পরিণত হয়েছিলেন। মধ্য ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যে, যেখানে মাওবাদীদের সশস্ত্র সদর দপ্তর রয়েছে বলে মনে করা হয়, সেখানে ২০১০ সালের বর্ষাকালে পাহাড় ও নদীতে ঘেরা অরণ্য অঞ্চলে এক সামরিক শিবিরে এই প্রতিবেদককে রবিন্দর বলেন, সরকার গ্রামের ছেলেদের নিয়েই তৈরি করেছিল সালবা জুডুম (শান্তিযাত্রা) বাহিনী, মাওবাদীদের খতম করার উদ্দেশ্যে। সালবা জুডুম ছিল অনেকটা বাংলাদেশের রাজাকার বাহিনীর মতো।
‘মানুষের ওপরে চরম অত্যাচার হয়েছিল। অথচ সেই সময়ে সবচেয়ে বেশি জনসমর্থন পেয়েছিলাম। চেয়ারম্যান মাও বলেছিলেন, যত অত্যাচার হবে, তত সংগঠন মজবুত হবে।’ মাওয়ের বিপ্লবের সংজ্ঞা মেনেই ভারতে জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব হবে বলে ২০১০ সালে মনে করতেন রবিন্দর। কিন্তু ৪ বছর পরে ২০১৪ সালে তিনি সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ‘যুদ্ধ করে করে ক্লান্ত হয়ে।’
১৯৬৭ সালের মে মাসে জলপাইগুড়ি জেলার নকশালবাড়ির এক গ্রামে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের ওপরে পুলিশের গুলি চালনা এবং ১১ জনের মৃত্যুর জেরে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, সেটাই পরবর্তী সময়ে জন্ম দেয় ভারতের নকশাল আন্দোলনের। চীন বিপ্লবের ধাঁচে সশস্ত্র বিপ্লবের দাবিতে সে সময় কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট) ভেঙে তৈরি হয় কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট (সিপিআই-এমএল), যার নেতৃত্বে ছিলেন জমিদার পরিবারের সন্তান চারু মজুমদার। এর পরের চার বছরে সিপিআই (এমএল)–এর নেতৃত্বাধীন আন্দোলন টুকরা টুকরা হয়ে যায়। প্রধান দুটি টুকরা—অন্ধ্র প্রদেশের জনযুদ্ধ ও বিহার-বাংলার মাওয়িস্ট কমিউনিস্ট সেন্টার জুড়ে যায় ২০০৪ সালে, তৈরি হয় সিপিআই (মাওয়িস্ট)।
ওই নিষিদ্ধ দল ১০ বছরের মধ্যে ভারত সরকারকে চিন্তায় ফেলে দেয়। অতীত আন্দোলনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নেতৃত্ব, মূলত পশ্চিমবঙ্গের কিছু বাঙালি, অন্ধ্রপ্রদেশের তেলেগুভাষী কলেজশিক্ষিত ছেলেমেয়ে এবং ছত্তিশগড়ের বস্তারের স্থায়ী বাসিন্দা ও গোন্ড উপজাতীয় মিলিশিয়ার সাহায্যে মাওবাদীরা সংখ্যায় দ্রুত বাড়তে শুরু করে।
২০১০ সালে বস্তারের জঙ্গলে তারা এক অভিযানে হত্যা করেছিল ভারতের আধা সামরিক বাহিনীর ৭৫ জনকে। ২০১৩ সালে ছত্তিশগড়ের প্রায় গোটা বিরোধী দল রাজ্য কংগ্রেসকে খতম করে দিয়েছিল তারা। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০০০ থেকে ২০১০ সময়কালে অন্তত ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেসামরিক নাগরিক, মাওবাদী ও সেনাসদস্যরা। মৃত্যুর হারে কাশ্মীরের পরেই স্থান এই গণযুদ্ধের। এ কারণে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মাওবাদকে ‘অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় বিপদ’ বলে চিহ্নিত করেছিলেন।
সম্প্রতি বস্তার ডিভিশনে পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল পি সুন্দররাজ প্রথম আলোকে লিখিতভাবে জানান, ২০০০ সালে যখন মধ্য প্রদেশ রাজ্য ভেঙে ছত্তিশগড় তৈরি হয়, তখন বস্তারের আয়তন ছিল ৪২ হাজার বর্গকিলোমিটার, যা ভুটানের সমান। মাওবাদীরা এর প্রায় অর্ধেক, ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটার নিয়ন্ত্রণ করত। মাওবাদীদের দ্রুত উত্থানের একটি কারণ, সালবা জুডুমের অত্যাচার। তবে আরও কারণ রয়েছে।
জনযুদ্ধ গঠিত হওয়ার পরে ১৯৮১ সালে মাওবাদীরা বস্তারে প্রবেশ করে। এমন অনেক কাজ তারা করেছিল, যা উপজাতীয় মানুষকে খানিকটা স্বস্তি দেয়। সে সময় বড় সমস্যা ছিল নারীদের ওপরে বনরক্ষীদের অত্যাচার। এ ছাড়া বনরক্ষীরা বিনা কারণে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজনকে ধরে নিয়ে আটকে রাখত। ‘মাওবাদীরা প্রথমেই কয়েকজন রক্ষীকে হত্যা করে, বাকিদের ভয় দেখিয়ে গ্রামছাড়া করে। বিপ্লবীদের ওপরে সাধারণ মানুষের আস্থা বেড়ে যায়,’ বললেন, রবিন্দর।
এ ছাড়া মাওবাদীরা জঙ্গল থেকে খনিজসম্পদ সংগ্রাহক সংস্থাকে বের করে দেয়, বাইরের ঠিকাদারদের চাপ দিয়ে বনজসম্পদ (যেমন বিড়ির পাতা) সংগ্রাহকদের মজুরি বাড়ায় এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে জমি বণ্টন করে। শিশু, নারী ও ছাত্র-যুবকদের সংগঠন তৈরি করে পার্টির কাজ সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করে। ৮০ ও ৯০ দশকজুড়ে ওই কাজের ফলে মাওবাদীদের ওপরে আস্থা বেড়ে যায়, মানুষ যোগ দিতে শুরু করে। কিন্তু সংগঠন এখন ভাঙছে।
মাওবাদীরা দ্রুত তাদের শক্তি হারাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সন্ত্রাস দমনের দায়িত্বে থাকা ভারতের সর্বোচ্চ বাহিনী ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি)–এর ডিরেক্টর জেনারেল এম এ গণপতি।
গণপতি দীর্ঘ সময় ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নকশাল দমন বিভাগের সচিব পর্যায়ের অফিসার ছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মাওবাদীদের উত্থানের প্রধান কারণ ছিল ছত্তিশগড়ের অরণ্য অঞ্চলে সরকারের ভ্রান্তনীতি।
‘অতীতে ওই অঞ্চলে প্রশাসনকে যেতে দেওয়া হতো না (যাতে উপজাতীয় মানুষের অসুবিধা না হয়)। সরকার যখন সেখানে ঢুকল, তখন থেকে নকশালদের ক্ষয় শুরু হলো। এটা কোনো জাতীয়তাবাদী আন্দোলন নয়। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে (যেমন কাশ্মীর) দীর্ঘ সময় শক্তি ধরে রাখা সম্ভব। এটা একটি আদর্শনির্ভর আন্দোলন, যেটা ভেঙে পড়বে যখন পুরোনো আদর্শবাদী নেতাদের বয়স ও মৃত্যু হবে। সেটা হচ্ছে এবং নতুন নেতারা এই আন্দোলনে আর নতুন করে প্রভাবিত হচ্ছেন না,’ বোঝালেন গণপতি।
রাষ্ট্র ও বাজার যত গভীর বনাঞ্চলে প্রবেশ করবে, ততই মাওবাদীদের শক্তি কমবে বলে মন্তব্য করে এনএসজির প্রধান গণপতি বলেন, ‘আমার মতে মাওবাদীদের জন্য এটাই সুবর্ণ সুযোগ সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলার।
মাওবাদীদের লড়াই করার ক্ষমতা কমায় সংঘাত যে ক্রমে কমছে, তার প্রমাণ ২০১০ সালে যেখানে ছত্তিশগড়সহ গোটা ভারতে মাওবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে ১০০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল, সেখানে ২০২০ সালে হয়েছে ১৮৩ জনের মৃত্যু।
পুলিশের বস্তার ডিভিশনের ইন্সপেক্টর জেনারেল সুন্দররাজ একটি দীর্ঘ ই-মেইলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, মাওবাদীরা এখন ৭০০০ বর্গকিলোমিটারে সীমাবদ্ধ।
‘আমরা গত ৫ বছরে ৬২টি নতুন ক্যাম্প খুলতে পেরেছি,’ লিখেছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল।
পাশাপাশি ৩২টি ব্যাটালিয়ন এখন মাওবাদী অঞ্চলে রয়েছে। একটি ব্যাটালিয়নে ১০০০ পর্যন্ত সদস্য থাকতে পারেন, যাঁরা প্রায় ভারতের সেনাবাহিনীর মতোই দক্ষ। এ ছাড়া ১০০০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা নির্মাণ করতে পেরেছে সরকার, এমন অঞ্চলে যেখানে অতীতে বাহিনী ঢুকতেই পারত না। আত্মসমর্পণ করলে মাওবাদীদের বড় অঙ্কের অর্থ, পুলিশে চাকরি বা অন্যান্য সুযোগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থাও প্রশাসন করেছে। ফলে অনেকেই দল ছাড়ছেন, যেমন ছেড়েছেন রবিন্দর।
রবিন্দর অস্ত্র ত্যাগ করে সংসারে ফিরে এসে এখন তুলা চাষ করছেন। সরকারের কাছ থেকে পেয়েছেন ২৫ লাখ রুপি। তাঁর স্ত্রী গোন্ড উপজাতিভুক্ত ভাট্টি অ্যাডমে, যিনি পিএলজির একটি সশস্ত্র প্লাটুনের সদস্য ছিলেন, তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় যুদ্ধ করে তাঁরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন।
‘অনেকেই পার্টিতে আছেন, তাঁরা আমাদের সতীর্থ। যখন দল ছেড়ে এলাম, তখন সবাই কেঁদেছি। কিন্তু যেহেতু দীর্ঘ সময় সমাজের মূলধারা থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন ছিলাম, তাই ভেবেছিলাম সমাজে ফিরতে সন্তান আমাদের নোঙর হিসেবে কাজ করবে। সে কারণেই আমরা সন্তানের জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।’
মাওবাদীদের শীর্ষস্থানীয় এক নেতা জানান, ভারতে সশস্ত্র আন্দোলনের প্রয়োজন আছে। কারণ, ধনী ও দরিদ্রের বৈষম্য ভারতে দ্রুত বাড়ছে। ফ্রান্সের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ভারতে জনসংখ্যার ১০ শতাংশের কাছে আছে ৫৭ শতাংশ এবং ১ শতাংশের কাছে ২২ শতাংশ সম্পদ। সমাজের নিচের দিকের ৫০ শতাংশের হাতে রয়েছে সম্পদের মাত্র ১৩ শতাংশ।
‘এর প্রভাব পড়বে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষের ওপরে, যাদের মধ্যে সব সময়েই থাকবে উপজাতীয় মানুষ, ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও এমন গোষ্ঠীর মানুষ, যাদের ভারতে নিচু জাতের বলে মনে করা হয়। মাওবাদীদের অবস্থা এ মুহূর্তে খারাপ। কিন্তু তার মানে এই নয় যে ইতিহাস থেমে গেছে।’ মন্তব্য ওই নেতার।
তবে অপর একটি অংশ স্বীকার করছে, তাদের নীতির সমস্যা রয়েছে। বর্তমানে দল ছেড়ে দেওয়া এক শীর্ষস্থানীয় নেতা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের ভাবার প্রয়োজন, আমরা নিজেদের প্রায় সম্পূর্ণ সমাজবিচ্ছিন্ন করে জঙ্গলে থেকে কত দিন রাষ্ট্রের সঙ্গে লড়তে পারব। আমি বলছি না সশস্ত্র সংগ্রামের প্রয়োজন নেই। কিন্তু এর পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন স্তরে রাজনৈতিক অংশগ্রহণের প্রয়োজনও রয়েছে, যেটা জঙ্গলে থেকে হবে না।’
যদিও এনএসজি প্রধান গণপতির বক্তব্য—ভারতে সশস্ত্র বামপন্থী আন্দোলনের দিন শেষ হয়ে গেছে, গোটা পৃথিবীতেও তাই। মাওবাদীরা অবশ্য মনে করেন, ভারতে চরম বৈষম্য থাকার কারণে সশস্ত্র আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা ফুরায়নি। আর কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন থাকলে তার জোয়ার–ভাটাও থাকবে বলে তাঁরা মনে করেন।