গত বুধবার শবরীমালা মন্দিরে দুই নারীর প্রবেশের আগের দিন তামিল সম্প্রদায়ের তিন মালয়েশীয় নারী মন্দিরটিতে গিয়ে পুজো দিয়ে এসেছেন। কেরালা পুলিশের বিশের শাখার ভিডিও ফুটেজে এ দৃশ্য দেখা গেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া গতকাল শনিবার তা যাচাই করে দেখেছে।
পুলিশ দাবি করছে ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ বছরের কম বয়সী আরও চারজন নয় বরং ১০ জন নারী মন্দিরে প্রবেশ করেছে। এখন তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
পুলিশের সূত্র মালয়েশিয়ান তিন নারীর মন্দির দর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। তবে তারা মালয়েশিয়া থেকে আসা ২৫ জন তীর্থযাত্রীর একটি দলের সদস্য বলে জানিয়েছে।
১৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি মোবাইলে ধারণ করা। সেখানে ওই নারীদের মুখ শাল দিয়ে ঢাকা ছিল।
পুলিশের সূত্র অনুযায়ী, মালয়েশিয়ান ওই দলটি ১ জানুয়ারি ভোরে মন্দিরটি দর্শন করে। এবং সকাল ১০টার দিকে পাম্বায় ফিরে যায়। দুই জানুয়ারি ভোরে বিন্দু ও কনকদূর্গা মন্দিরে যায়।
পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, মালয়েশিয়ান ওই তিন নারীকে কোথাও বাধা দেওয়া হয়নি। বিন্দু ও কনকদূর্গা এবং পরের দিন শ্রীলঙ্কান এ নারীর মন্দিরে প্রবেশের প্রচুর ভিডিও রয়েছে। কিন্তু মালয়েশিয়ান নারীদের ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি। তাদের পুলিশ পাহারা দিয়ে নিয়ে যায়নি।
শবরীমালা মন্দিরে হিন্দু দেবতা আয়াপ্পার অধিষ্ঠান।
কেরালা হাইকোর্টের নির্দেশে ১৯৯১ সাল থেকে শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এই প্রথা এবং লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করা হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেন, ধর্মাচরণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে ভেদাভেদ করা যায় না। রায় সত্ত্বেও গত চার মাসে কোনো ঋতুমতী নারী শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি।
কিন্তু সম্প্রতি এই ট্যাবু ভেঙে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৫০ বছরের কম বয়সী প্রায় ৪ হাজার ২০০ নারী মন্দির দর্শনের জন্য অনলাইনে বুকিং দিয়েছিল। কিন্তু মন্দিরে নারীদের প্রবেশকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভের ঘটনায় অনেকে পিছু হটে।