তীব্র শীতে কাঁপছে কলকাতা। শুধু কলকাতা কেন, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। শীতে পশ্চিমবঙ্গে পাঁচজন মারা গেছে। বস্তিবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে গতকাল সোমবার সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল দার্জিলিংয়ে। তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কলকাতার বিভিন্ন রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাটে শীতের মধ্যে বহু কষ্টে রয়েছে মানুষ। রাস্তায় রাস্তায় জ্বালানো হচ্ছে, কাঠ, গাড়ির টায়ার, বিভিন্ন প্লাস্টিকের ভাঙাচোরা ড্রাম।
এখন কলকাতাসহ রাজ্যের সব জায়গায় বাস, ট্রাম, ট্রেন, লঞ্চে যাত্রী চলাচল কমে গেছে।
তীব্র শীতে পশ্চিমবঙ্গে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন এলাকার মিন্টু সিংহ রায় (৪২), ত্রিমোহনীর শ্রীরামপুরে পরাণ মুর্মু (৩৬), বালুরঘাটের ট্যাংক মোড়ের দ্বিজেন দাস (৫০)।
এ ছাড়া বাঁকুড়া ও মুর্শিদাবাদে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
গতকাল দমদমে তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি, কলকাতা ১০ ডিগ্রি, , শ্রীনিকেতনে ৬ দশমিক ৮, কোচবিহারে ৩ দশমিক ৯, জলপাইগুড়িতে ৩ দশমিক ৮, কালিম্পংয়ে ৫, কৃষ্ণনগরে ৭ দশমিক ৮, মালদহে ৫ দশমিক ৭, বাঁকুড়ায় ৮ দশমিক ৬, দীঘায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, আলিপুরে ১০ দশমিক ৫ এবং মেদিনীপুরে ৯ দশমিক ১।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, আরও ৪৮ ঘণ্টা এই শৈত্যপ্রবাহ চলবে।
আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ছিল কলকাতার সবচেয়ে শীতলতম দিন।
তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি। ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি ছিল ৯ দশমিক ৬, ২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি ১০ ডিগ্রি, চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি ছিল এই তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি।
পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়িয়া শহর দার্জিলিংয়ে তাপমাত্রা কমে মাইনাস ডিগ্রিতে চলে গেছে। তীব্র শীতে কাঁপছে দার্জিলিং। মানুষ হোটেল থেকে বের হচ্ছে না। হিটার চালিয়ে গরম করছে রুম।
কলকাতায় এখন রাস্তাঘাটে কমে গেছে মানুষের চলাচল। শীতের ভয়ে প্রয়োজন না থাকলে আর কেউ এখন বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। এতে সকালবেলা কলকাতা শহরের রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকছে। রোদ উঠলে ধীরে ধীরে বাড়ছে যান চলাচল। মানুষের চলাচল।