ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলের বহিষ্কৃত এক নেতা। বহিষ্কৃত নেতা অশোক সরকার দাবি করেছেন, হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে দিলীপ ঘোষ বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেছেন। এ নিয়ে ওই নেতা দ্বারস্থ হয়েছেন আদালতেরও। শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুয়া তথ্য দাখিলের জন্য দিলীপ ঘোষের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন করেছেন হাইকোর্টে।
দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুর সদর খড়গপুর আসনের বিজেপির নির্বাচিত বিধায়ক।
এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার এবং বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ শুনানির পর ভারতের নির্বাচন কমিশনকে দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে আমার আইনজীবীরা লড়ছেন। তাঁরাই জবাব দেবেন এবং যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন।’ তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, এই মামলার পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক অভিসন্ধি। তাঁকে সমস্যায় ফেলার জন্য এমন কাজ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে যেসব কাগজপত্র ছিল, তারই ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনকে আমি তথ্য দিয়েছি। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এবার যা জানানোর তা জানাক।’
বিজেপির বহিষ্কৃত নেতা অশোক সরকার আদালতে অভিযোগ করেন, দিলীপ ঘোষ বিধানসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় হলফনামায় জানিয়েছিলেন, তিনি ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিক কলেজ থেকে ডিপ্লোমা করেছেন। এই তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অশোক সরকার তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় আবেদন করেন। সেখান থেকে তাঁকে জানানো হয়, ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিক কলেজ বলে কোনো কলেজ নেই। পরে দিলীপ ঘোষ জানান, তিনি ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর পলিটেকনিক কলেজ থেকে ডিপ্লোমা করেছেন। সেই কলেজে খোঁজ নিয়ে অশোক সরকার জানতে পারেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দিলীপ ঘোষ নামের কোনো ব্যক্তি ওই কলেজ থেকে ডিপ্লোমা করেননি।