প্রতিবছরের মতো এবারও বসন্ত উৎসবে মাতল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতন। আজ সকালে বৈতালিকের মাধ্যমে শুরু হয় এ বসন্ত উৎসবে। গানে আর রঙে মেতে ওঠে হাজারো মানুষ। অংশ বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে আসা হাজারো মানুষ।
আর এ বসন্ত উৎসব ঘিরে শান্তিনিকেতনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আজ বসন্ত পূর্ণিমার সকালে আশ্রম মাঠে আয়োজিত এ উৎসব শুরু হয়। গত বছর এ উৎসবে যোগ দিয়েছিল দুই লাখ মানুষ। এবার সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
১৯০৭ সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট ছেলে শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুরু করেছিলেন ঋতুরঙ্গ উৎসব। সেদিন শান্তিনিকেতনের প্রাণ কুঠিরের সামনে শুরু হয় এ উৎসব। এখন অবশ্য সেদিনের প্রাণকুঠি শমীন্দ্র পাঠাগার হিসেবে পরিচিত। সেই ঋতুরঙ্গ উৎসবই আজকের বসন্ত উৎসব। আগে বসন্তের যেকোনো দিন অনুষ্ঠিত হতো এ উৎসব। পরবর্তীকালে অবশ্য বসন্ত পূর্ণিমার দিনই অনুষ্ঠিত হয় এ উৎসব। এ উৎসব অবশ্য ঋতুরাজ বসন্তে স্বাগত জানানোর উৎসব।
এবারও এ উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় শান্তিনিকেতনকে। বসানো হয়েছে উৎসব প্রাঙ্গণে চারটি ওয়াচ টাওয়ার। নিয়োগ করা হয়েছে ৮০০ পুরুষ ও নারী পুলিশ। থাকছে বাসন্তী রঙের টুপি পরে ৬০০ বিশ্বভারতীর স্বেচ্ছাসেবক।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক স্বপন কুমার দত্ত বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠিত করার জন্য বিশ্বভারতী সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমাদের সবার মাথায় রাখতে হবে আজকের উৎসব বসন্ত উৎসব। হোলি উৎসব নয়। বসন্তকে স্বাগত জানানোর জন্য এ উৎসব।’
আজ সন্ধ্যায় বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হবে কবিগুরুর ‘তাসের দেশ’ নৃত্যনাট্য।