কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে আজ রোববার দ্বিতীয় দিনেও সিবিআইর কর্মকর্তারা জেরা করেছেন। বেলা ১১টার দিকে শুরু হয়ে জেরা চলে দুপুর পর্যন্ত। মধ্যাহ্নভোজের পর আবার জেরা করে সিবিআই রাত অবধি চলে এই জেরা।
সংবাদমাধ্যম সিবিআইর সূত্র উল্লেখ করে বলেছে, রাজীব কুমারের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সিবিআই, তাই জেরার জন্য আগামীকাল সোমবারও রাজীব কুমারকে ডেকেছে।
রোববার অবশ্য জেরা করা হয়েছে তৃণমূলের সাংসদ ও সারদার মিডিয়া সেলের সাবেক প্রধান কুণাল ঘোষকেও। সিবিআই এখন কুণাল ঘোষ ও রাজীব কুমারের বয়ান মিলিয়ে দেখে আবার জেরা করবে। সিবিআই জেরার জন্য ২২ পাতার প্রশ্নমালা তৈরি করেছে। সেই প্রশ্নমালা ধরেই চলছে রাজীব কুমারের জেরা। শনিবার সিবিআই রাজীব কুমারকে ৭ ঘণ্টা জেরা করে। আর রোববার করে ৮ ঘণ্টা। এবার রাজীব কুমার ও কুণাল ঘোষকে পাশাপাশি বসিয়ে জেরা করার কথা জানিয়েছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের সমন পেয়ে রাজীব কুমার গতকাল শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ উপস্থিত হন শিলংয়ের ওকল্যান্ডের সিবিআই দপ্তরে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের দুই কর্মকর্তা। তাঁরা হলেন কলকাতার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাভেদ শামীম এবং ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (এসটিএফ) মুরলি ধর শর্মা। যদিও এই দুদিন এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা শিলংয়ের সিবিআই দপ্তরে গেলেও সিবিআই তাঁদের জেরাকালীন দপ্তরে থাকতে দেয়নি।
জেরাকালীন রাজীব কুমারের পুরো বয়ান রেকর্ডও করা হয়।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সিবিআই যে একগুচ্ছ অভিযোগ হলফনামা দিয়ে আদালতে পেশ করেছিল, সেসব অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন আবর্তিত হচ্ছে। বিশেষ করে সারদার শীর্ষ কর্মকর্তা দেবযানি মুখোপাধ্যায় কলকাতা থেকে পালিয়ে জন্মু ও কাশ্মীর থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার সময় তাঁর কাছ থেকে যে ল্যাপটপ ও পেনড্রাইভ উদ্ধার করেছিল পুলিশ তা নিয়েও প্রশ্ন হয়েছে। ওই ল্যাপটপ ও পেনড্রাইভ পুলিশের কাছে থাকলেও পরবর্তী সময়ে সেগুলো পুলিশ সিবিআইর হাতে দেয়নি। সিবিআইর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সারদার তদন্ত নিয়ে গঠিত সিট–এর সুপারভাইজিং অফিসার হিসেবে রাজীব কুমার ওই সব তথ্য নষ্ট করে ফেলেছেন।