ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় ‘ওষুধ সেবনে জাদুকরি উপশমের’ মতো বিজ্ঞাপন প্রচারের বিষয়ে আইনের খসড়া সংশোধনীর প্রস্তাব এনেছে। প্রস্তাবে অবজেকশনেবল অ্যাডভারটাইজমেন্টস অ্যাক্ট ১৯৫৪-এর সংশোধনী এনে কিছু আপত্তিকর বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ রুপি পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখতে বলা হয়েছে।
এসবের মধ্যে রয়েছে রং ফরসা করার, যৌন ক্ষমতা বাড়ানো, তোতলানো দূর করা, নারীদের প্রজনন–অক্ষমতা সারিয়ে তোলা, চুল রং করার ওষুধবিষয়ক বিজ্ঞাপন।
এনডিটিভির আজ শুক্রবারের খবরে বলা হয়েছে, খসড়া সংশোধনী প্রস্তাবে ওই আইনের আওতায় বেশ কিছু রোগ, সমস্যা ও দুরবস্থার বিষয় বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়, ৭৮টি রোগ, সমস্যা ও দুরবস্থার ক্ষেত্রে ‘জাদুকরি উপশমের’ কথা বলে বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না।
যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি, ত্বকের রেখা ও বয়সের ছাপ দূর করা, এইডস নিরাময়, চুলে রং করা, তোতলানোর সমস্যা সারিয়ে তোলা, নারীর প্রজনন–অক্ষমতা দূর করার মতো ওষুধের বিজ্ঞাপনকে এই আইনের আওতায় আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
প্রচলিত আইনে এ ধরনের অপরাধের প্রথম শাস্তি হলো ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা জরিমানা অথবা দুটিই। পরবর্তী সময়ে দোষী সাব্যস্ত হলে এক বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা অথবা দুটোই হতে পারে।
প্রস্তাবিত সংশোধনীতে এ ধরনের অপরাধের শাস্তি আরও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রথম শাস্তি হলো, দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ১০ লাখ রুপি জরিমানা। পরবর্তী সময়ে কারাদণ্ডের মেয়াদ ৫ বছর পর্যন্ত বাড়তে পারে। জরিমানা ৫০ লাখ রুপি পর্যন্ত হতে পারে।
মন্ত্রণালয় বলছে, সময় এবং প্রযুক্তির বদলের কারণে এই সংশোধনীর প্রস্তাব আনা হয়েছে। জনসাধারণ এবং অংশীদারদের কাছ থেকে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নোটিশ জারির ৪৫ দিনের মধ্যে তাঁদের মতামত দিতে হবে।
খসড়া বিলে বিজ্ঞাপনের সংজ্ঞা কী, তা প্রচারের প্রস্তাবও করা হয়েছে। সংজ্ঞায় বলা হয়, অডিও বা ভিজ্যুয়াল প্রচার, প্রতিনিধিত্ব করা, সত্যায়ন, আলো, শব্দ, ধোঁয়া, গ্যাস, প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়া, ইন্টারনেট অথবা ওয়েবসাইট মাধ্যমে যেকোনো নোটিশ, সার্কুলার, লেবেল, র্যাপার, ইনভয়েস, ব্যানার, পোস্টার অথবা অন্য তথ্যের প্রচারই বিজ্ঞাপন।