বেআইনিভাবে কয়লা উত্তোলন করতে গিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে অন্তত ১৩ জন শ্রমিকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের। এখনো ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে।
মেঘালয়ে ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস থেকেই কয়লা তোলা নিষিদ্ধ। ভারতের গ্রিন ট্রাইব্যুনাল এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। কিন্তু তারপরও চলছে বেআইনিভাবে কয়লা তোলার কাজ।
রাজ্যের পূর্ব জয়ন্তিয়ায় বেআইনিভাবে কয়লাখনিতে কাজ করতে গিয়ে ধসের কবলে পড়েছেন অন্তত ১৩ জন শ্রমিক। গ্রামবাসীর কাছ থেকে গত বৃহস্পতিবার পুলিশ এই নিখোঁজ সংবাদ পায়। এরপরই উদ্ধারকাজ শুরু হয়।
রাজ্য পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এ আর মাহতো আজ শনিবার সকালে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গ্রামবাসীর কাছ থেকেই তাঁরা এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েছেন। তবে খনিতে ঠিক কতজন আটকে আছেন, সে বিষয়ে পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, সংখ্যাটি ১৩ জনের বেশিও হতে পারে। কমও হতে পারে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
ভারতের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ১২০ জন জওয়ান অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্ধারকাজে হাত দিয়েছেন। এই বাহিনীকে সাহায্য করছেন প্রশিক্ষিত রাজ্য দুর্যোগ বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি দমকল ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মীরা। কিন্তু তাঁরা এখনো কোনো সাফল্য পাননি।
আজ সকাল থেকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। জানা গেছে, কয়লাখনি ৩৭০ ফুট গভীর। সেখানে এখনো ৭০ ফুট পানি রয়েছে।
শ্রমিকদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। উদ্ধারকারীরা প্রায় নিশ্চিত, কেউই আর বেঁচে নেই। এখনো লাশ উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, কয়লাখনির মালিককে খোঁজা হচ্ছে। তিনি পলাতক। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলা রুজু হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী কনার্ড সাংমা স্বীকার করেছেন, রাজ্যে বেআইনি কয়লাখনি এখনো চালু রয়েছে। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন তিনি। এক সরকারি প্রেস বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, খনি এলাকাগুলোয় ঝুঁকি কমাতে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেবে তাঁর সরকার।