ভারতের মধ্যে মুম্বাইয়ে প্রথম শুরু হলো ‘ড্রাইভ ইন’ টিকাদান কর্মসূচি। গতকাল মঙ্গলবার মুম্বাইয়ের দাদারের কোহিনুর সোসাইটির পার্কিং অঞ্চলে প্রথম ড্রাইভ ইন করোনা টিকাদান কেন্দ্র খোলা হলো। মুম্বাই মহানগর পালিকার উদ্যোগে এই কেন্দ্র খোলা হলো।
এই কেন্দ্রে মানুষ গাড়িতে করে আসবেন এবং গাড়িতে বসেই টিকা নিতে পারবেন। যাঁদের গাড়ি নেই, তাঁদের গাড়ির ব্যবস্থা শিবসেনা সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে। এমনকি টিকা দেওয়ার পর তাঁদের বাসায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। করোনার সংক্রমণের হার কম করার জন্য বোম্বে মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের (বিএমসি) পক্ষ থেকে এ অভিনব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এই সুবিধা পাবেন শুধু ৪৫ বছরের বেশি বয়সীরা।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই টিকাদান কর্মসূচি সফল হলে প্রথমে মুম্বাই শহরের সব পার্কিং লটে কেন্দ্রগুলো খোলা হবে। এরপর সমগ্র রাজ্যে ড্রাইভ ইন ভ্যাক্সিনেশন সেন্টার খোলা হবে। মুম্বাইয়ের একটি ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত এক আধিকারিক জানান, ‘আমাদের এই ওয়ার্ডের সাতটি বুথে ৫ হাজারের মতো মানুষকে টিকা দেওয়ার ক্ষমতা আছে। এর মধ্যে দুটি বুথ ড্রাইভ ইন টিকাদানের জন্য রাখা হয়েছে।
গতকাল একটি বুথ প্রথম খোলা হলো। পার্কিং বুথে ৭০টির মতো গাড়ি রাখার জায়গা আছে। খুব শিগগিরই রেজিস্ট্রেশন স্টল খোলা হবে। বয়স্ক এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য এই নতুন উদ্যোগ খুবই কার্যকর হবে।’
মুম্বাই, তথা মহারাষ্ট্রজুড়ে এখন টিকার হাহাকার। সাধারণ মানুষকে টিকাদান কেন্দ্র থেকে খালি হাতে ফিরে আসতে হচ্ছে। মুম্বাইতে এখন পর্যন্ত ১৮ থেকে ৪৪ বয়সীদের মধ্যে ২ হাজার ৩৯৪ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। আর ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে ৮ লাখ ৬২ হাজার মানুষ টিকা পেয়েছেন।
রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগ অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রে ৯ কোটির বেশি জনসংখ্যা ১৮ বছরের বেশি বয়সী। যার মধ্যে ১ দশমিক ৬৩ কোটি মানুষ টিকা পেয়েছেন। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ দুশ্চিন্তায় আছে যে টিকা দেওয়ার হার দ্রুত না বাড়লে আগামী দিনে আরও কঠিন সময় আসতে চলেছে।