মহারাষ্ট্রে করোনার মধ্যে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে

এডিস মশা
এডিস মশা

করোনার তৃতীয় ঢেউ মহারাষ্ট্রের বুকে আছড়ে পড়বে বলে সতর্কবাণী দিয়েছে রাজ্যের কোভিড টাস্কফোর্স। তাদের আশঙ্কা, এক-দুই মাসের মধ্যে এই রাজ্যে আবার করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়বে। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের নতুন এক চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জিকা ভাইরাস।

আগস্টের শুরু থেকে এ রাজ্যে জিকা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এ বছর পুনেতে প্রথম জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ৭৫টির বেশি গ্রামে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। তবে জিকা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার।

এর আগে ২০১৬-১৭ সালে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল। এই ভাইরাসের কারণে শিশুর মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং গুইলাইন-ব্যারে সিনড্রোম নামে বিরল একটি রোগ হয়।

ভাইরাসটি সাধারণত এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। তবে শারীরিক সম্পর্কের মধ্য দিয়েও এর সংক্রমণ হতে পারে।

এদিকে গতকাল বুধবার মহারাষ্ট্রে করোনার নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৫৬০। গতকাল ১৬৩ জন করোনা সংক্রমিত রোগী মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত পুনেতে সংক্রমণের হার বেশি। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল ৬ হাজার ৯৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত এই সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৬২০ রোগী। স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, এই রাজ্যে সর্বমোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৩ লাখ ৬৯ হাজার ২ পেরিয়ে গেছে। আর মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৬৪।

মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে নির্মিত কোভিড টাস্কফোর্স সচেতনতা বার্তা দিয়েছে যে শিগগিরই এই রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানতে পারে। কারণ, এই রাজ্যে করোনার সংক্রমণ আবার দ্রুত হারে বাড়ছে। করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যার নিরিখে মহারাষ্ট্র কেরালার পর দ্বিতীয় স্থানে আছে।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে কোভিড টাস্কফোর্সের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে করোনার তৃতীয় ঢেউ আর তার মোকাবিলা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এবার অক্সিজেনের যথেষ্ট ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জানা গেছে।