মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক নেতা এবং মুখপাত্রের করা অবমাননাকর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার এ প্রতিবাদ জানায় পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দলটি।
এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের রাজ্যসভার এমপি এবং সর্বভারতীয় মুখপাত্র সুখেন্দু শেখর রায় বলেছেন, বিজেপির নেতা–নেত্রীদের এই মন্তব্যে ভারতের মানুষের মাথা হেঁট হয়ে গেছে। এই মন্তব্যের জেরে গোটা ভারতের মানুষকে এখন দুষছে বিশ্ববাসী। অথচ ভারতের সাধারণ মানুষের কোনো দোষ নেই, দোষ একটি নির্দিষ্ট দলের নেতা-নেত্রীদের।
সুখেন্দু শেখর বলেন, ভারতের দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ধর্ম, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ধর্মগুরু ও পয়গম্বরের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ও অপমানজনক মন্তব্য করা যাবে না। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের নেতা-নেত্রীরা তা–ই করলেন এবং এখন পর্যন্ত তাঁদের কোনো শাস্তি হয়নি। তাঁদের যা শাস্তি হয়েছে, তা দিয়েছে তাঁদের দল। একজনকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, আরেকজনকে সাময়িক কিছু সময়ের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রশাসন বা সরকার কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি এখন পর্যন্ত।
সুখেন্দু শেখর আরও বলেন, বিজেপি নেতা–নেত্রীদের এই মন্তব্যের জেরে গোটা বিশ্বে ভারতের ভাবমূর্তি জোরালো ধাক্কা খেয়েছে। তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি সর্বস্তরে ভারতকে ধাক্কা দিয়েছে। বাণিজ্যিক, কূটনৈতিক, সাংস্কৃতিক—সব স্তরে এর প্রভাব পড়েছে। যত দিন যাচ্ছে, ভারতের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্বের ক্ষোভ বাড়ছে। এমনকি এখন ভারতীয় পণ্য বয়কট করা হচ্ছে। ভাবমূর্তি ও ব্যবসা-বাণিজ্যকে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার দায় একটি দলের। তার নাম বিজেপি, যার নেতা নরেন্দ্র মোদি।
তৃণমূলের দাবি, অভিযুক্ত দুই নেতা-নেত্রীকে শুধু সাময়িকভাবে বরখাস্ত করলে বা সরালেই হবে না, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে। বিষয়টিকে নিয়ে আন্দোলনে নামারও হুমকি দেয় তৃণমূল কংগ্রেস।