আবার বাগ্যুদ্ধে জড়াল তৃণমূল ও বিজেপি। গতকাল শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার ঐতিহাসিক ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সফল মহাসমাবেশ করে তৃণমূল। এতে যোগ দেন ভারতের বিজেপি বিরোধী অন্তত ২২টি রাজনৈতিক দলের ২৩ নেতা।
তৃণমূল নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সভা সফল হওয়াকে মেনে নিতে পারেননি রাজ্যের বিজেপি নেতৃবৃন্দ। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বাছতে তো এবার লটারি করতে হবে মমতার। যদিও মমতা গতকাল ব্রিগেড সমাবেশে বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অভাব নেই দেশে। প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নেই কোনো নেতা। ভাবছেনও না এগুলো নিয়ে। ২২-২৪টি পার্টি এই মঞ্চে এক হয়েছে গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও বিজেপির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার দাবি নিয়ে। তাই দেশের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা এখন ভাবার দরকার নেই। ভোটে জয়ের পর সেসব ঠিক হবে।’
এসব কথার পরিপ্রেক্ষিতে এক সংবাদ সম্মেলনে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এতজন নেতা! প্রধানমন্ত্রী বাছতে তো লটারি করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মোদিজির কোনো এক্সপায়ার ডেট হয় না। মোদিজির হাত ধরেই দেশজুড়ে বিজেপির পতাকা উড়বে। চন্দ্রবাবু, অখিলেশদের কটা ভোট? এ রাজ্যের বাইরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই–বা কী আছে? প্রধানমন্ত্রী বাছতে তো তাই লটারি করতে হবে। আমাদের দলের একটিই মুখ—মোদিজি।’ এ সময় তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, ‘মমতা নিজেই তো শাড়িপরা হিটলার। আমার নামে এক শ মামলা দিয়ে রেখেছে। বিজেপি কর্মীদের ধরে ধরে ভুয়া মামলা দিচ্ছে। ব্রিগেডে যে সার্কাস দেখলাম, মন ভরে গেল।’
গতকালের সমাবেশের পর ২৩ নেতার সম্মানে চা চক্রের আয়োজন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মমতা নিজেই অতিথিদের আপ্যায়ন করান। চা চক্রের পর সংবাদ সম্মেলনে নেতারা জানান, এবার তাঁরা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) পরিবর্তে ব্যালটে ভোট দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করছেন। নেতারা বলছেন, ভোটযন্ত্রে কারচুপির শঙ্কা থাকে। নির্বাচন কমিশনে দাবি উপস্থাপনের জন্য চার সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়। তাঁরা হলেন, আম আদমি পার্টির নেতা ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সমাজবাদী পার্টির নেতা ও উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব, কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি এবং বহুজন সমাজ পার্টির নেতা সতীশ মিশ্র।