পশ্চিমবঙ্গে দুটি জনসভায় যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একহাত নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে হিংসার রাজনীতির জন্ম দিয়েছেন মমতা। তাই এখানে তৃণমূলের দিন শেষ।’
শনিবার বিকেল ও দুপুরে জনসভা দুটি যথাক্রমে দুর্গাপুর ও উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুর নগরে অনুষ্ঠিত হয়। ঠাকুর নগরের জনসভাটির আয়োজন করে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ। আর দুর্গাপুরের জনসভার আয়োজক বিজেপি।
দুর্গাপুরে মোদি বলেন, ‘মানুষ আর অত্যাচার সহ্য করবে না। সরকার গঠন করে এই তৃণমূলই বাংলায় গণতন্ত্র হত্যা করেছে। মানুষ হত্যা করছে। তাই বাংলার মানুষ তৃণমূলকে বিদায় করবেই। হিংসা দিয়ে বিজেপিকে রোখা যাবে না।’
এর আগে দুপুরে মতুয়াদের তীর্থভূমি উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুর নগরে জনসভায় যোগ দেন মোদি। তিনি সেখানে ঠাকুর নগরের নাটমন্দিরে গিয়ে পুজো দেন এবং ‘মা বীণাপাণি’ দেবীর আশ্রমের গুরু মার সঙ্গে দেখা করেন।
ঠাকুর নগরের মাটি পবিত্র উল্লেখ করে মোদি বলেন, এখানে আসতে পেরে তিনি নিজকে ধন্য মনে করছেন। মোদি সেখানকার জনসভায় বলেন, ‘আমরা উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব বিল পাস করিয়েছি। এখন রাজ্যসভার অনুমোদনের জন্য রয়েছে।’ তিনি এই প্রসঙ্গ টেনে মমতার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এই বিলকে সমর্থন করুন। নিজের অবস্থান স্পষ্ট করুন।’
মোদি মমতার উদ্দেশে আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে নির্দোষ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই রাজ্যে সিন্ডিকেট ট্যাক্স লাগবে না। জনসভার ভিড় দেখে বুঝতে পারছি দিদি কেন হিংসার রাস্তায়।’
অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাতিপতি শান্তনু ঠাকুর জনসভায় মতুয়া সম্প্রদায়ের ১০ দফা দাবি মোদির কাছে তুলে ধরেন। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে, মতুয়া উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব প্রদান, ঠাকুর নগরে আয়োজিত বারুণি মেলার দিনটিকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা, মতুয়াদের ঠাকুর নগরে আসা যাওয়ার সময় ট্রেনের ভাড়ায় বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করা, মতুয়াদের গুরু গুরুচাঁদ ঠাকুরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান ইত্যাদি।
এদিকে শনিবার পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফালা কাটায় বিজেপি আয়োজিত এক জনসভায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, তৃণমূলের আয়ু শেষ হয়ে আসছে। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে সরকার গড়বে বিজেপি। মমতা সোনার বাংলাকে ‘কাঙাল বাংলা’ বানিয়েছে। মমতা সরকার বাংলায় দারিদ্র্য দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে।