চিতাবাঘ মেরে সেটার মাংসে উদরপূর্তি করেন পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্সের একদল পাচারকারী। পরে তাঁরা চিতাবাঘের চামড়াটি বিক্রির চেষ্টা করেন। দাম হাঁকেন ১০ লাখ রুপি। ব্যস, খবর পৌঁছে যায় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কানে। এবার বন বিভাগ গোপনে তথ্য নিয়ে চিতাবাঘের চামড়াটি কেনার কথা বলে ফাঁদ পাতে পাচারকারীদের ধরতে।
জলপাইগুড়ি জেলার বৈকণ্ঠপুর বন বিভাগের স্পেশাল টাস্কফোর্সের কর্মকর্তা সঞ্জয় দত্ত গোপনে শুরু করেন তৎপরতা। এরপর তিনি হোয়াটস অ্যাপে একটি গ্রুপ তৈরি করে ফাঁদ পাতেন। সেই ফাঁদে পা দেন ওই পাচারকারীরা। তারপর দামাদামি সাপেক্ষে চামড়াটির দাম ঠিক হয় ১০ লাখ রুপি। নির্দিষ্ট দিনে মোটরসাইকেলে করে পাঁচ পাচারকারী চিতাবাঘের চামড়া নিয়ে হাজির হন ঘটনাস্থলে। তারপর বন বিভাগের পাতা জালে ধরা পড়েন তাঁরা।
ওই পাঁচজন স্বীকার করেছেন, তাঁরা চিতাবাঘটিকে মেরে মাংস দিয়ে বনভোজন করেছেন। গতকাল রোববার জলপাইগুড়ির পাশের ডুয়ার্সের ওদলাবাড়ি বনাঞ্চল থেকে ধরা পড়েন এই পাঁচজন। তাঁরা প্রত্যেকেই ডুয়ার্সের বাসিন্দা।
বন কর্মকর্তা সঞ্জয় দত্ত বলেছেন, ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই চামড়াটি ১০ লাখ রুপিতে বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন পাচারকারীরা। দিন চারেক আগে চিতাবাঘটিকে হত্যা করা হয়।