ভারতে করোনার চিকিৎসায় জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিল ফাইজার-বায়োএনটেক। আজ শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এ–সংক্রান্ত আবেদন প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী আরও কিছু তথ্য যুক্ত করে নতুন করে আবেদন করবে তারা।
করোনার টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনকারী প্রথম প্রতিষ্ঠান ফাইজার। যুক্তরাজ্য ও বাহরাইনে অনুমোদন পাওয়ার পর গত ডিসেম্বরে ভারতে আবেদন করে তারা। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অনুমোদন পেয়েছে ফাইজার। এখন পর্যন্ত একমাত্র টিকা হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও (ডাব্লিউএইচও)। ভারত গত মাসে দুটি টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। এর একটি হলো অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত ‘কোভিশিল্ড’, অন্যটি ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ–সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিয়েছে ফাইজার। তাতে বলা হয়েছে, বুধবার ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ফাইজারের। তবে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ কিছু বিষয়ে আরও বেশি তথ্য চেয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাই ফাইজার নিজেদের আবেদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী সময়ে ফাইজার বাড়তি তথ্য-উপাত্ত ভারতকে সরবরাহ করবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করবে। প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র বলেন, ‘ভারতীয় সরকারকে টিকা সরবরাহে ফাইজার এখনো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতে টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ফাইজার-বায়োএনটেক তাদের করোনা টিকায় প্রথমে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষার দাবি করেছিল। পরে মডার্নার টিকার কার্যকারিতার ফল প্রকাশের পর আরেক বক্তব্যে ফাইজার কার্যকারিতার নতুন তথ্য জানায়। ফাইজার দাবি করে, তাদের টিকা করোনা ঠেকাতে প্রায় ৯৫ শতাংশ কার্যকর। তবে তাদের টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পরিবহন ও সংরক্ষণ করতে হয়।