ভারতে চিতাবাঘ বেড়েছে। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে দেশটিতে চিতাবাঘ বেড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। ২০১৮ সালের চিতাবাঘ–শুমারির ফলাফল বের হয়েছে এ বছর। সব মিলিয়ে এখন ভারতের চিতাবাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮৫২, যা বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পথে।
শুমারির ফলাফলে বলা হয়েছে, চার বছরে চিতাবাঘ বেড়েছে ৪ হাজার ৯৪২টি। এর আগে ২০১৪ সালে প্রথম পরিচালিত চিতাবাঘ–শুমারির ফল প্রকাশ হয় ২০১৫ সালে। তখন ভারতে ১৮টি রাজ্যের অভয়ারণ্য ও ব্যাঘ্র প্রকল্পে ৭ হাজার ৯১০টি চিতাবাঘ থাকার কথা বলা হয়।
পশ্চিমবঙ্গে চিতাবাঘ বেশি মিলছে বক্সা, জলদাপাড়া ও গরুমারা অভয়ারণ্যে। এখানে রয়েছে ৯০টি চিতাবাঘ। চিতাবাঘের এ সমীক্ষা চলে ভারতের ১৮টি রাজ্যের ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চলজুড়ে। ১৪১ এলাকার ২৬ হাজার ৮৩৮টি জায়গায় ক্যামেরা ট্র্যাপ করা হয়।
শুমারিতে উঠে আসে প্রায় সাড়ে তিন কোটি ছবি। এর মধ্যে ৫১ হাজার ৭৭৭টি ছবি ছিল শুধু চিতাবাঘের। ছবি বিশ্লেষণ করে ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া বলেছে, দেশে কমপক্ষে ১২ হাজার ৮৫২টি চিতাবাঘ রয়েছে। এই সমীক্ষার বাইরেও চিতাবাঘ থাকতে পারে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকায় বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা জানতে ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে বাঘশুমারি। বর্তমান হিসাবে সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে এখন ৯৬টি বেঙ্গল টাইগার রয়েছে। তবে এবার নতুন করে শুরু হওয়া বাঘশুমারিতে এই সংখ্যা বাড়বে বলে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের কর্মকর্তারা মনে করছেন।
পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বন কর্মকর্তা রবিকান্ত সিনহা বলেছেন, মানুষের বসতি ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় চিতাবাঘের থাকার জায়গাও কমে আসছে। এ কারণে তারা অনেক সময় মানুষের বসতবাড়ির কাছের জঙ্গলেও আশ্রয় নেয়। ফলে বাঘ-মানুষের সংঘর্ষ বাড়ছে।
চিতাবাঘের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় খুশি ভারতের কেন্দ্রীয় বন প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ১এটা আমাদের বন্য প্রাণী সংরক্ষণে বিরাট সাফল্য। এই সাফল্যকে ধরে রাখার জন্য আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। চিতাবাঘ মারা বন্ধ করতে হবে।’