ভারতে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়েছে। ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দেশটির কেরালা রাজ্যের একটি হাসপাতালে ওই রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই রোগী চীনের উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা শাস্ত্রের ছাত্রী। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে আলাদা রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী হাসপাতালে আলাদা রাখা হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল এবং তাঁকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শায়লাজা বলেন, ওই রোগীর ২০টি নমুনার মধ্যে একটিতে করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এখনো তিনটি নমুনার পরীক্ষা শেষ হয়নি। উহান থেকে ফেরত আসা ওই রোগী বর্তমানে ত্রিসূর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তাঁর সংক্রমণ গুরুতর নয়। তিনি আরও বলেন, চীন থেকে আসা লোকজনকে স্বাস্থ্য বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদের ছাড়া হচ্ছে। ওই হাসপাতালে সন্দেহভাজন আরও তিন রোগীকে আলাদা ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের আশঙ্কায় কেরালায় ৮০০ জনের বেশি মানুষকে তাদের বাড়িতে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা ভালোভাবে প্রস্তুত রয়েছেন।
দিল্লি ও মুম্বাইসহ বিভিন্ন শহরের হাসপাতালে এই ভাইরাসে আক্রান্তের আশঙ্কায় রোগীদের আলাদা রেখে গভীর পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত যেসব মানুষ চীন ভ্রমণ করেছেন, তাঁরা যদি জ্বর, কাশি ও শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা অনুভব করেন, তাঁদের নিকটস্থ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বলা হয়েছে। এরই মধ্যে দেশটির বিভিন্ন বিমানবন্দরে প্রায় ৩০ হাজার যাত্রীকে প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়েছে।
এদিকে চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১৭০ জনে। এই ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী তিব্বতেও শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে চীনের প্রতিটি অঞ্চলেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। মূলত এর আশঙ্কা ও উদ্বিগ্ন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বেই।