ভারতের কেরালা রাজ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজ স্থানীয় কোঝিকোড়ে বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে দুই টুকরা হয়ে গেছে। ওই উড়োজাহাজে প্রায় ১৯১ জন আরোহী ছিলেন। উড়োজাহাজটি দুবাই থেকে ফিরছিল।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দমকল কর্মী ও অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। উড়োজাহাজটি দুই টুকরা হলেও তাতে আগুন ধরেনি। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এ কারণে অনেক আরোহীর প্রাণ বেঁচে যেতে পারে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের উড়োজাহাজের দুর্ঘটনার বিষয়টি জেনে বিপর্যস্ত। জরুরি উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের উড়োজাহাজের দুর্ঘটনার খবর শুনে স্তম্ভিত। সব আরোহী যেন বেঁচে যান, সেই প্রার্থনা করছি। এই মুহূর্তে উড়োজাহাজটির সব যাত্রী, ক্রু ও তাঁদের প্রিয়জনদের পাশে আছি।’
কোঝিকোড়ে বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবতরণের সময় স্থানীয় সময় রাত সোয়া ৮টার দিকে উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে যে, ফ্লাইটটির ক্যাপ্টেন ও কয়েকজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে এর সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ভেঙে দুই টুকরা হয়ে গেলেও উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরেনি। এই ঘটনার পর থেকে বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৮ সালের পর কেরালার এই বিমানবন্দরে এই প্রথম কোনো উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার শিকার হলো।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এই দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উড়োজাহাজটির অবতরণের সময় ঘটনাস্থলে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। বেশ কিছু সংখ্যক আরোহী আহত হয়েছেন এবং তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
জানা গেছে, শুক্রবার সারা দিন ধরেই কেরালায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। প্রচণ্ড বৃষ্টিতে সেখানে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে। এতে এরই মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে ২০১০ সালের মে মাসে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি ফ্লাইট ম্যাঙ্গালোর বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়েছিল। ওই ঘটনায় ১৫৮ জন নিহত হয়েছিলেন।