ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায় বাংলা ভাষাতেও প্রকাশের দাবি উঠেছে। এই দাবির পক্ষে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
বিভিন্ন মামলার রায় ইংরেজি ছাড়াও আরও ৭টি ভাষায় ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এই ৭টি ভাষায় পাওয়া যাবে সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন মামলার রায়। এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
এত দিন এই রায় কেবল ইংরেজি ভাষায় ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হতো। এখন ইংরেজি ছাড়াও হিন্দি, তেলেগু, অসমিয়া, মারাঠি, কন্নড়, ওড়িয়া ও তামিল ভাষায় রায় প্রকাশিত হবে।
সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রকাশের ভাষার তালিকায় বাংলার নাম নেই। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার খবরটি আসার পর বাংলা ভাষার নাম না দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলের নেতা সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী।
আব্দুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তী দাবি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রকাশের ভাষার তালিকায় বাংলাকেও যেন অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই জন্য তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন পেশ করেছেন। এ ছাড়া আবেদন করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে।
বিষয়টি নিয়ে আব্দুল মান্নান রাজ্য বিধানসভায় আলোচনার দাবি জানান। তবে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন বিধানসভার স্পিকার।
বিরোধীদলীয় নেতা আব্দুল মান্নান বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা যায় না। তবে তাঁদের দাবি, রায় প্রকাশের তালিকায় বাংলা ভাষাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
আব্দুল মান্নান বলেছেন, বাংলা ভাষায় শুধু পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কথা বলে না। ত্রিপুরা, ঝাড়খন্ড, ওডিশা, বিহার ও আসামের বহু মানুষও বাংলায় কথা বলে। তাই সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রকাশের তালিকায় বাংলা না থাকায় তাঁরা আঘাত পেয়েছেন। এতে বাংলাভাষীরা ব্যথিত।
বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেন, বাংলা ভাষার জন্য পৃথিবীর বুকে একটি দেশ তৈরি হয়েছে—বাংলাদেশ। এই ভাষার জন্য আজ গোটা বিশ্বে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়। বাংলাদেশের মানুষের মুখের ভাষা এই বাংলা। তাই বাংলা ভাষাকে সুপ্রিম কোর্টের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
বাংলা ভাষার স্থান ভারতে এখন দ্বিতীয়। প্রথম হিন্দি। বিশ্বে এই বাংলা ভাষার স্থান সপ্তম।