ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’ পেলেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে এ ঘোষণার পর কংগ্রেস শিবিরে আনন্দের বন্যা। কংগ্রেস নেতারা বলেছেন, যোগ্য মানুষকে দেওয়া হলো যোগ্য সম্মান। এ ছাড়া মরণোত্তর ‘ভারতরত্ন’ সম্মান পাচ্ছেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকা ও সমাজসেবী নানাজি দেশমুখ।
প্রণব মুখার্জি হলেন ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি। এখন অবসরজীবন যাপন করছেন। তাঁর রাজনীতি শুরু পশ্চিমবঙ্গ থেকে। জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের কীর্ণাহারে। ১৯৩৫ সালের ১১ ডিসেম্বর। ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারতের ১৩তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন ২০১২ সালের ২৫ জুলাই। ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই অবসরে যান। এর আগে ২০০৮ সালে তিনি ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘পদ্মভূষণ’ পেয়েছিলেন।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এক টুইটবার্তায় অভিনন্দন জানিয়ে লেখেন, ‘অভিনন্দন। আমাদের একজনের অপরিসীম অবদান যে স্বীকৃতি পেল, তা কংগ্রেসের কাছে অত্যন্ত গর্বের।’
প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, ‘তিনি আমাদের সময়ের অসাধারণ রাষ্ট্রনায়ক। নিঃস্বার্থ ও অক্লান্তভাবে দশকের পর দশক ধরে দেশের সেবা করেছেন। তাঁর প্রজ্ঞা ও মেধার তুলনা হয় না। তাঁকে ভারতরত্ন দেওয়ায় আমি খুশি।’
তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বাঙালি হিসেবে গর্বিত। একজন বাঙালি ভারতরত্ন পেলেন। তিনি রাষ্ট্রপতি থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। ভারতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন।’
প্রণবকন্যা ও কংগ্রেস নেত্রী শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘পরিবারের জন্য এটি একটি গর্বের মুহূর্ত।’
প্রণব মুখার্জি টুইটবার্তায় তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘এই প্রাপ্তি গোটা জীবনের কাজের স্বীকৃতিতো বটে, বাঙালি হিসেবেও গর্বিত। আমি সব সময় বলেছি, আজ আবার বলছি, এই মহান দেশের মানুষদের যতটা না দিতে পেরেছি, তার থেকে অনেক বেশি পেয়েছি।’
প্রণব মুখার্জির আগে এ রাজ্যের ছয়জন এই ভারতরত্ন পান। তাঁরা হলেন ডা. বিধানচন্দ্র রায় (১৯৬১), মাদার তেরেসা (১৯৮০), সত্যজিৎ রায় (১৯৯২), অরুণা আসফ অলি (১৯৯৭), অধ্যাপক অমর্ত্য সেন (১৯৯৯), পণ্ডিত রবিশঙ্কর (১৯৯৯)।