প্রেমিকাকে হত্যার পর টেলিভিশন চ্যানেলে তার দায় স্বীকার করলেন প্রেমিক। ভারতের চণ্ডীগড়ে সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে হত্যার দায় স্বীকার করে দেওয়া বক্তব্য প্রচারিত হওয়ার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ভারতে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মনিন্দর সিং। তাঁর বয়স ২৭ বছর। সম্প্রতি ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নিউজএইটিনের স্থানীয় কার্যালয়ে হাজির হয়ে তিনি অপরাধ স্বীকার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরপর ওই চ্যানেলের কর্মীরা মনিন্দরকে স্টুডিওতে নিয়ে যান। পরে সেখানে এক অনুষ্ঠানে খুন করার কথা স্বীকার করেন মনিন্দর। তিনি ওই অনুষ্ঠানে বলেন, বিয়ের আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় তিনি নিজের প্রেমিকা সরবজিৎ কউরকে হত্যা করেছেন।
সম্প্রচারিত ওই অনুষ্ঠানে মনিন্দর জানান, পুলিশের হয়রানির কারণেই টিভি চ্যানেলে এসে হত্যার দায় স্বীকার করছেন তিনি। গত ৩০ ডিসেম্বর একটি হোটেলে তাঁর কথিত প্রেমিকার লাশ পাওয়া যায়। এরপর থেকেই তিনি পালিয়ে ছিলেন। এ ঘটনায় পুলিশ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করছিল বলে টিভি চ্যানেলে এসে দায় স্বীকারের সিদ্ধান্ত নেন মনিন্দর।
চণ্ডীগড়ের পুলিশ কর্মকর্তা নেহা যাদব বিবিসিকে বলেন, ‘তিনি প্রচার ও সমবেদনা চাইছিলেন। তাই টিভি চ্যানেলে গেছেন। তিনি ভেবেছিলেন, কোনো আইনজীবী তাঁকে সহায়তা করবেন, তাঁর হয়ে আদালতে লড়বেন। কারণ, আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার মতো অর্থ তাঁর কাছে নেই।’
জানা গেছে, সরবজিৎ কউর ও মনিন্দর সিংয়ের বিয়েতে দুই পক্ষের পরিবারের সদস্যরা আপত্তি জানিয়েছিলেন। মূলত, জাতপাতের সমস্যার কারণেই এই বিয়ে ভেস্তে যায়।
এদিকে পাঞ্জাব পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মনিন্দর সিং এর আগেও এমন হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন ছিলেন। এর আগেও এক প্রেমিকাকে হত্যার অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় তিনি জামিনে ছিলেন।