ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এবার বাংলাজুড়ে বিজেপির ঢেউ উঠেছে। সারা দেশ বলছে, বাংলায় এবার বড় কিছু ঘটবে, বাংলার স্বপ্ন পূরণ হবে। প্রথম দুই দফার ভোটদানের হার দেখে ঘুম উড়ে গেছে বাংলার ‘স্পিড ব্রেকার’ দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)। তিনি বুঝে গেছেন, বাংলায় সত্যিই এবার বিজেপির পক্ষে বড় কিছু ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। তিনি বুঝবেন, তা ২৩ মে ভোট গণনার দিন। বুঝবেন মা–মাটি–মানুষের সঙ্গে ধোঁকা দেওয়ার ফল।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট আসনের বুনিয়াদপুরের নারায়ণপুরে বিজেপির জনসভায় এসব কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, দিদি এখন তো বিদেশিদের এনেও ভোটের প্রচার চালাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চৌকিদার এবার প্রতিটি পয়সার হিসাব নেবে। দিদির সরকার তো জগাই-মাধাইর সরকার। দুর্নীতির সরকার। গরিবের অর্থ লুট করা সারদা আর নারদ মামলায় দুর্নীতিবাজেরা কেউ রেহাই পাবে না। অপরাধের বিচার হবে। দিদি তো গরিবের অর্থ লুট করে মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে। মানুষ এবার তাঁর হিসাব নেবে। তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমে বুঝেছিলাম দিদি সত্যিই সততার প্রতীক। কিন্তু পরে সেই ভুল আমার ভেঙেছে। বুঝেছি, তাঁর সরকার দুর্নীতিবাজদের সরকার।’ মোদি বলেন, এই বাংলার মানুষ এবার আর ক্ষমা করবে না দিদিকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিদি এখন রাজ্যজুড়ে গুন্ডা পুষছেন। টাকা দিচ্ছেন। অথচ তিনি কর্মীদের ডিএ দিতে পারছেন না। রাজ্যজুড়ে তিনি সন্ত্রাসীদের স্বর্গ বানিয়েছেন। এখন দিদি ও ভাইপো (মমতা-অভিষেক) বাংলার বদনাম করছেন। মানুষ তাঁদের চিনে ফেলেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, এখন তো দিদি বিদেশিদের এনেও ভোটের প্রচার চালাচ্ছেন। চৌকিদার এবার নির্বাচনের পর সবকিছুর হিসাব নেবে। হিসাব নেবে এই বাংলায় যে অত্যাচার করেছে তারও। তিনি বলেন, ‘এবার বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের হিসাব দিন দিদি।’ তিনি বলেন, ‘এবার অনুপ্রবেশ রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই দিদিই নাগরিকত্ব বিল নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছেন রাজ্যবাসীকে। সেই ভুলও মানুষ ধরে ফেলেছে। তাই সোচ্চার হয়েছে বাংলার মানুষ। তাই এবার আর ইতিহাস ক্ষমা করবে না স্পিডব্রেকার দিদিকে। তাই বলছি, এখন দিদির দলে শুধু আছেন জগাই-মাধাইরা।’
মোদি বলেছেন, বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ–কাণ্ডের মামলা চাপা দিতে চেয়েছিলেন দিদি। কিন্তু পারেননি। সেই দিদি যখন পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিতে গিয়ে ভারতীয় সেনারা জঙ্গি নিকেশ করে, তখন দিদি প্রমাণ চান। তিনি বলেন, দিদি এখন জঙ্গিদের কাছ থেকে সাহায্য নিতেও আপত্তি নেই। সভায় মোদি আহ্বান জানান, এ আসনে বিজেপির প্রার্থীসহ রাজ্যের সব আসনে বিজেপি প্রার্থীকে জয়যুক্ত করার।
বালুরঘাট আসনের বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার, মালদহ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু এবং মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।