দিন ফুরিয়ে আসছে নরেন্দ্র মোদির। আর ক্ষমতায় আসতে পারবেন না তিনি। গত বৃহস্পতিবার প্রথম দফার ভোটে যে ৯১টি আসনের ভোট হয়েছে, সেখানে ১০টি আসনেও জিততে পারবে না মোদির দল। শুধু তাই নয়, এবার লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ১০০টি আসনও পাবে না। তাই মোদিকে চূড়ান্তভাবে হটানোর জন্য এবার তৃণমূলকে ভোট দিতে হবে। তৃণমূলই মোদিকে হটিয়ে আগামীর দিল্লির সরকার গঠন করবে।
আজ শনিবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি শহরের বাঘাযতীন ময়দানে তৃণমূল আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব কথা বলেন।
ভোটারদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কংগ্রেস তো এই বাংলায় সাইনবোর্ডের দল হয়ে গেছে। কেন দেবেন কংগ্রেসকে ভোট? সিপিএমের অস্তিত্ব নেই। কেন সিপিএমকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন? তাই বিজেপি রুখতে আপনারা তৃণমূলকে ভোট দিন। জোড়াফুলে ভোট দিন। তৃণমূলই আগামীর দিল্লির সরকার গড়বে। তাই শক্তিশালী করুন তৃণমূলের হাত। তিনি বলেন, এবার এই বাংলা থেকে কংগ্রেস এবং সিপিএম একটি আসনও পাবে না। তৃণমূল পাবে ৪২ আসনের ৪২টিই।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘আমরা ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি করি না। ওরা তো গেরুয়ার অপমান করছে। ওরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। ধর্মের নামে সমাজকে বিভক্ত করছে। আমরা তা করি না। ধর্ম মানে যুদ্ধ নয়, হিংসা নয়, ধর্ম মানে মানবিকতা। এই আদর্শে বিশ্বাসী তৃণমূল।’ বলেন, ওরা যে ধর্মের কথা বলছে তা তো ফ্যাসিবাদী শক্তির ধর্ম। তাই দেশকে বাঁচাতে মোদিকে একটি ভোটও না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মমতা বলেন, আবার বিজেপি ক্ষমতায় এলে দেশ অন্ধকার হয়ে যাবে। বিজেপি ক্ষমতায় এসে তো হিটলারের কায়দায় দেশ শাসন করছে।
কংগ্রেস-বিজেপি-সিপিএমকে এককাতারে দাঁড় করিয়ে মমতা বলেন, ওরা জগাই-মাধাই-গদাই। ওদের দেশ থেকে হটাতে হবে। তাই ওদের একটি ভোটও নয়। ভোট দেবেন তৃণমূলকে। যে রাজ্যে তৃণমূল নেই, সেখানে বিজেপি-কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে অন্য দল যারা সেখানে শক্তিশালী, তাদের ভোট দেবেন। উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, অন্ধ্র প্রদেশে তেলেগু দেশম পার্টি থাকতে কেন দেবেন বিজেপিকে ভোট? এবার তো তৃণমূলের নেতৃত্বে ভারতে মোদিবিরোধী সরকার গঠনের ক্ষেত্র তৈরি হয়ে গেছে। আর সেই সরকার গড়বে তৃণমূল। মমতা আরও বলেছেন, ‘আমিও অন্য রাজ্যে প্রার্থী দিতে পারতাম কিন্তু দিইনি। আমাদের মহাজোটের দলগুলোর ভোট ভাগ হবে এই কারণে।’ মমতা আজও পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালু করতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।