ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে এখন উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ। ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা পৌর করপোরেশন এবং রাজ্যের বিভিন্ন পৌরসভার নির্বাচন। এ নির্বাচনের লড়াইটা হবে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এবং পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের মধ্যে। শেষ মুহূর্তে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের কথা উল্লেখ করে সোমবার আগরতলায় তৃণমূলের পূর্বঘোষিত রোড শো বাতিল করে দেয় আগরতলা পুলিশ। এ রোড শোতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তাঁকে বহনকারী বিমান আগরতলায় অবতরণ করার অনুমতিও দেওয়া হয়নি।
নির্বাচন ঘিরে বিজেপির হার্ডলাইনে যাওয়ার বিষয়টি আগেই টের পাওয়া গিয়েছিল। নির্বাচনী প্রচারে গেলে কলকাতার তৃণমূল নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে রোববার রাতে গ্রেপ্তার করে আগরতলা পুলিশ।
নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে শনিবার রাতে একজনকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় তিনি এর মধ্যে জামিন পেয়েছেন।
গত ২৬ জুলাই তৃণমূলের জন্য কাজ করতে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার (আইপ্যাক) একটি প্রতিনিধিদল আগরতলায় নির্বাচনী সমীক্ষা করতে গেলে তাঁদের ওপর হামলা চালায় বিজেপি। এরপর গত ২ আগস্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগরতলায় প্রচারণা চালাতে গেলে সেখানেও বিজেপির সমর্থকেরা তাঁর গাড়িতে হামলা চালান।
আগরতলা পৌর করপোরেশনসহ রাজ্যের বিভিন্ন পৌরসভায় ৩৩৪টি ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী দিলেও তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছে ১২৫টি ওয়ার্ডে। অপরদিকে আগরতলা পৌর করপোরেশনের ৫১টি ওয়ার্ডেই বিজেপির সমানসংখ্যক প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল।
ত্রিপুরায় টানা ২০ বছর ক্ষমতায় ছিল বাম দল। এরপর ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাম দলকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি।