অবশেষে কংগ্রেসের সক্রিয় রাজনীতিতে নিয়ে আসা হলো রাজীব গান্ধী-সোনিয়া গান্ধীর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রকে। আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে দলের উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর পশ্চিমাঞ্চলের দায়িত্বে আনা হয়েছে মধ্যপ্রদেশের তরুণ নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। এ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের সভাপতি ও প্রিয়াঙ্কার ভাই রাহুল গান্ধী।
প্রিয়াঙ্কার সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ প্রসঙ্গে আমেথি সফররত রাহুল গান্ধী আজ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রিয়াঙ্কা ও জ্যোতিরাদিত্যের মতো শক্তিশালী যুবনেতাদের দিয়ে আমরা উত্তর প্রদেশের রাজনীতি বদলাতে চাই। প্রিয়াঙ্কা ও জ্যোতিরাদিত্যকে আমি দুই মাসের জন্য উত্তর প্রদেশে পাঠাচ্ছি না। ওদের বলেছি, কংগ্রেসের বিচারধারাকে এই রাজ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, যাতে সমাজ উপকৃত হয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, উত্তর প্রদেশের যুব সম্প্রদায়ের যা প্রয়োজন, প্রিয়াঙ্কা-জ্যোতিরাদিত্যরা তা পূর্ণ করবে।’
প্রিয়াঙ্কা ভোটে দাঁড়াবেন কি না? জানতে চাওয়া হলে রাহুল বলেন, ‘সেটা পুরোপুরি প্রিয়াঙ্কার ওপর নির্ভর করছে। তবে আমরা ব্যাকফুটে খেলার জন্য মাঠে নামিনি। গুজরাটেও আমরা ব্যাকফুটে খেলিনি, উত্তর প্রদেশেও খেলব না। রাজনীতি আমরা জনতার জন্য করি। যেখানে সুযোগ পাব, সেখানেই আমরা ফ্রন্টফুটে খেলব। এই সিদ্ধান্ত উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে এক ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।’
উত্তর প্রদেশে জোট না হওয়ার প্রসঙ্গ তোলা হলে রাহুল বলেন, ‘মায়াবতী ও অখিলেশকে আমি শ্রদ্ধা ও সম্মান করি। আমাদের মধ্যে অনেক নীতিগত মিল আছে। আমাদের লক্ষ্যও অভিন্ন, বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করা। বিজেপিকে হারানোর জন্য যেখানে আমাদের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে, মায়াবতী-অখিলেশকে তা দিতে আমরা প্রস্তুত। কিন্তু পাশাপাশি কংগ্রেসের বিচারধারার বিস্তার আমরা ঘটাব। কংগ্রেসকে শক্তিশালী করব। প্রিয়াঙ্কার রাজনীতিতে আসার উদ্দেশ্যও তা। ব্যক্তিগতভাবে এই সিদ্ধান্তে আমি খুশি। কারণ, আমার বোন কর্মঠ। এবার তিনি আমার সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করবেন।’