দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা ওঠার প্রথম দিনেই পশ্চিমবঙ্গের জেলেদের জালে ধরা দিয়েছে ইলিশ। গভীর সমুদ্রে যাওয়ার আগেই উপকূলে ইলিশ পেয়ে খুশিতে টগমগ জেলেরা। ১৫ জুন ইলিশ ধরার ওপর থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
বৃহস্পতিবারই ডায়মন্ড হারবারের জেলেদের জালে আটকা পড়ে প্রায় তিন টন ইলিশ। সেদিন রাতেই তা চলে আসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের পাইকারি মৎস্যবাজার নগেন্দ্র বাজারে। নিলামে সেই ইলিশ বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৬০০ রুপিতে। ইলিশের ওজন ৪৫০ থেকে ৫০০ গ্রামের মধ্যে।
ওয়েস্টবেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জয়কৃষ্ণ হালদার সাংবাদিকদের বলেছেন, ইলিশের মৌসুমে এবার ১১ হাজারের বেশি ট্রলার সমুদ্রে ইলিশ ধরতে নামছে। এর মধ্যে শুধু পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ৭ হাজার মৎস্য ট্রলার রয়েছে। এ ছাড়া ট্রলার রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘাসহ অন্য সমুদ্র এলাকায়। প্রথম দিন আড়াই হাজার ট্রলার নেমেছে সমুদ্রে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ট্রলারের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীরা বলেছেন, গত তিন বছর পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্রে তেমন ইলিশ মেলেনি। এবার মৎস্যজীবীরা বিরাট আশা নিয়ে সমুদ্রে নামছেন।
ট্রলারমালিকেরা বলেছেন, ট্রলারে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীদের কয়েক দিনের খাবার, জ্বালানি তেল, বরফ নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দিতে হয়। কিন্তু মাছ ধরতে না পারলে তাঁদের প্রতিটি ট্রলারে প্রায় এক লাখ থেকে দেড় লাখ রুপির বেশি ক্ষতি হয়।