বাংলাদেশ থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালানো পি কে হালদার এবং তাঁর পাঁচ সহযোগীর কারা হেফাজত আরও ১৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দিয়ে কলকাতার বিশেষ সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (সিবিআই) আদালতের বিচারপতি জীবনকুমার সাধু বলেন, ২০ জুলাই তাঁদের ফের আদালতে হাজির করতে হবে। হালদার এবং তাঁর সহযোগীদের দুই আইনজীবী আলী হায়দার এবং সোমনাথ ঘোষ আজ এজলাশে উপস্থিত ছিলেন না।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আইনজীবী অরিজিত চক্রবর্তী পরে সাংবাদিকদের বলেন, পি কে হালদার এবং তাঁর সহযোগীদের জেরা করে ভারতের একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম পাওয়া গিয়েছে। সম্ভবত এদের নামও চার্জশিটে থাকবে। বাংলাদেশের কিছু প্রভাবশালীর নাম পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গেছে।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই চার্জশিট আদালতে পেশ করা হবে এবং তা ২০ জুলাই পেশ করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানান চক্রবর্তী। পি কে হালদার এবং তার সহযোগীদের নামে ১৯৮৮ সালের দুর্নীতি দমন আইন এবং ২০০২–এর প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করা হয়েছে।
গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতের আর্থিক দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তারা পি কে হালদারের পাঁচ সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের আগে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পি কে হালদারের প্রাসাদসম বাড়িসহ অনেক সম্পদের সন্ধান পায় ইডি।
গত ৭ জুন ইডি আদালতকে জানায়, পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন এলাকায় পি কে হালদারসহ তাঁর সহযোগীদের ৮৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে তারা। পি কে হালদার ও তাঁর সহযোগীদের ৩০০ কোটি টাকার সম্পদ পাওয়ার কথাও আদালতকে জানিয়েছে ইডি।