পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরকে ভারতের নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি বিজেপির

দিলীপ ঘোষ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
দিলীপ ঘোষ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এখন জম্মু ও কাশ্মীর পুরোপুরিভাবে ভারতভুক্ত হয়েছে। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে মানুষ পরাধীন জীবনযাপন করছে। তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিয়ে স্বাধীনতার স্বাদ দেওয়া জরুরি। ভারতীয় পার্লামেন্টেও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরকে ভারতের নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি উঠেছে।

দিলীপ ঘোষ গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিনে এ কথা বলেন। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের অধিবাসীদের ভারতের নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর মূলত রদ হয়ে যায় জম্মু ও কাশ্মীরকে দেওয়া বিশেষ সুযোগ-সুবিধা। নতুনভাবে তৈরি করা হয় দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ফলে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতীয় সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়ে এক দেশ এক সংবিধানের আওতায় চলে আসে। আগে জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য আলাদা সংবিধান এবং পতাকা ছিল। এবার সেসব বাতিল হয়ে গেছে।

শোভন চট্টোপাধ্যায়: ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

কলকাতা পৌর করপোরেশনের সাবেক মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বুধবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। দলের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় এর আগে শোভন রাজ্যের মন্ত্রিত্ব এবং করপোরেশনের মেয়র পদ ছেড়েছিলেন। এবার ছাড়লেন দলীয় পদও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ গতকাল এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘মুকুল রায় যখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তখনো বলা হয়েছিল এতে তৃণমূলের কিচ্ছু হবে না। কিন্তু কী হয়েছে এখন তা তো দেখতে পাচ্ছে তৃণমূল, সেই সঙ্গে রাজ্যের মানুষও।’

শোভন চট্টোপাধ্যায় একসময় ছিলেন মমতার অত্যন্ত কাছের মানুষ। তাই একসঙ্গে মমতা তাঁর ওপর কলকাতা করপোরেশনের মেয়র, রাজ্যের মন্ত্রিসভার তিনটি দপ্তর এবং তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই শোভনই এবার তৃণমূল ছেড়ে চলে গেলেন বিজেপিতে।


শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগদানের পর তৃণমূল যে একটা বড় ধাক্কা খেল সেটা এখনো মানছে না দলের নেতারা। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় গতকাল জানান, ‘আমরা কেউ যাচ্ছি না। আমাদের দলে মমতা ছাড়া কেউ অপরিহার্য নয়। শোভন চট্টোপাধ্যায় চলে যাওয়ায় আমাদের দলে কোনো প্রভাব পড়বে না।’

কলকাতা পৌর করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বর্তমান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘দলের থেকে ব্যক্তি বড় নয়। নেতাজি, চিত্তরঞ্জন দাশের মতো নেতারাও কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। তাতে কংগ্রেসের কোনো ক্ষতিবৃদ্ধি হয়নি। দলের মতো দল চলবে।’