পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ার বালাকোটে বিমান হামলায় ‘জঙ্গি হত্যার’ তথ্য প্রমাণ প্রকাশ করবে না ভারত। ওই হামলায় হতাহতের ব্যাপারে কোনো প্রমাণ প্রকাশ না করার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের এক মন্ত্রী।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বালাকোটে বিমান হামলা চালিয়ে ‘উল্লেখযোগ্যসংখ্যক জঙ্গি হত্যার’ দাবি করেছে ভারত। তবে ওই হামলায় হতাহতের ব্যাপারে কোনো প্রমাণ প্রকাশ করা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, ‘কোনো নিরাপত্তা সংস্থাই তাদের অভিযানের ব্যাপারে তথ্য প্রকাশ করে না। এটি খুবই দায়িত্বহীন একটি স্টান্ড। প্রতিটি বাহিনীর প্রতিটি অবস্থা মোকাবিলার কিছু নিয়ম আছে। কেউ যদি কোনো হামলার প্রমাণ চায়, এর অর্থ হলো তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর শৃঙ্খলা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন।’
দুই দেশের কর্মকর্তারা বলেছেন, পরিস্থিতি শান্ত হলেও এখনো শূন্যরেখায় উভয় পক্ষের গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে ঢুকে যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী। নয়াদিল্লি বলছে, বালাকোটে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়েছে তারা। এতে ৩০০ জঙ্গি নিহত হওয়ার দাবি করেছে ভারত। তবে ভারতের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ। এমনকি স্থানীয়রাও রয়টার্সের কাছে একই তথ্য দিয়েছেন। প্রতিশোধ নিতে বুধবার পাকিস্তান বিমানবাহিনী আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্থাপনায় হামলা চালায়।
পাকিস্তান বলছে, ভারতীয় বোমা পাহাড়ি এলাকায় আঘাত হেনেছে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি। ভারতের বিরোধীদলীয় বেশ কয়েকজন নেতা বালাকোটে ওই অভিযানের পক্ষে প্রমাণ প্রকাশ করার জন্য ক্ষমতাসীন মোদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসী হামলার জেরে পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে বিমান হামলা চালিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির দাবি, ওই হামলায় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মুহাম্মদের বড় ঘাঁটি গুঁড়িয়ে গেছে। নিহত হয়েছে ৩০০ জঙ্গি। কিন্তু ওই হামলায় এখন পর্যন্ত মাত্র একজনের আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলে দাবি হামলাস্থলের বাসিন্দাদের। এরপরই প্রতিবেশি দেশ দুটির মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে জঙ্গিদের লাশ কই। এরপরই ভারতের শীর্ষ একজন মন্ত্রী বলেছেন, সরকার ওই অভিযানে হতাহতের ব্যাপারে কোনো প্রকার তথ্যপ্রমাণ প্রকাশ করবে না।